বৈরানেরঐ পাড়ে আমার অনেক ঋণ আছে
শহরের এই ব্যস্ততাতেও খেই না হারাই পিছে
মিয়াবাড়ির ঘাটের পাশে ছিল একখান গাছ
গোসল বা নানা ছলে বসতাম গাছের কাছ।

গাছটির নীচে অহ রহই বসতো যেন মেলা
রোদের তোড়ে সেথায় বসে জমতো যত খেলা
কচুর ডাটায় ঘুটি, লুডু, তাস আর নানা খেলা
এমনি করেই কেটে যেত সারাটা দিন বেলা।

কৈশোরেরঐ দিনগুলোতে ছিল না কোন বাঁধা
খেলা-ধুলা আর পড়া-লেখা ছিল আধা আধা
তারই মাঝে ছিল মেধা আরও অনেক গাধা
মিলামিলির ফেরে তবুও ছিলনা কালা-সাদা।

নদী, গাছ সেথায় আছে, নেই কোন জন মেলা
যান্ত্রিকতার তোড়ে সেথায় জমেনা কোন খেলা
কৈশোরের দিন কাটানোর বদলে গেছে ধরণ
আপেক্ষিকতার নিক্তিটা তাই করিয়ে দেয় স্মরণ।