আজ বর্ষপূর্তির রাত,
শত আহ্লাদের প্রেমমাল্য মিশেছে ধুলোয়
বিষাদ কি দুঃখ, কিজানি ডাকছে ভীষণ
মনে পড়ছে, অদ্ভূত এক 'তুমি-তুমি' ভাব!

মনে আছে তোমার?
'তিনটি কাব্য কথায় ডেকেছিলাম
ছিল মিথ্যে প্রণয়ের আহ্বান!
বছর তিনেকের বড়দিদি
কথায়-কবিতায় ছিলে অনন্য  তুমি
চতুরতা - সরলতায় চিরন্তন তুমি একদা-
হয়ে গেলে কবিতা।

আগের মতোই কি আছো এখনো?
প্রথম প্রেমে ছিলে 'সোলমেট'
ঠিক যেনো আয়নার মতোই ছিলে -
আমি-তুমি সত্ত্বায় হতো প্রতিরূপ।

শুভদৃষ্টিতে তাকাতে পারিনি তেমন
তোমার আক্ষেপ ছিল ভীষণ
এখন  বেশ তাকাতে পারি
তোমার প্রত্যাখ্যানের পর।


তুমি বলতে, "বেশ ভালো লিখো"
অভিমান জাগলে ডাকতে 'ভূতু'
কতো সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টার কাটা পেরিয়ে
তিনশত পঁয়ষট্টিতম দ্বিপ্রহর রাত্তিরে
মিথ্যে করেও সখ জাগেনা, ভূতু ডাকতে?

শীতের কুয়াশা মাখা ঘাসের ডগায়
শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিজয়ী শক্তির মতোন
তুমি হেসেছিলে একবার -
সেই থেকে যেনো তোমাকেই লিখা হতো;
কতো শত মূহুর্তে হয়  এক সেকেন্ড?  
বলতে পারো সময়ের দাম অনেক
উজার করে সব ফিরিয়ে দিবো
সময় দাও, মূহুর্ত মাত্র!

একবার শেষ বিকেলে -
তোমাকে খোঁজতে হারিয়ে যায় রুমাল
অল্প হলেও ফেরত দাওনি কখনো।
বলতে, আমার নিশ্বাস খোঁজে পাও তাতে।
তোমার পরশ মাখা আসমানী ওড়না ; কিংবা
হুট করে নেমে আসা বৃষ্টিতে ভেজা চুল
চাইলেই দিতে পারতে-
আমিও পেতাম প্রথম প্রেমের জীবাশ্ম।

মনে পড়ে?
পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আমিও ছিলাম এক অধ্যায়!  
রান্নার ফাঁকে কিংবা নানান বাহানাতে
চুপিসারে বলতে 'হ্যালো!'
পাছে কেউ শুনে সেই ভয়-
আরো যে কতো!

এক কোটি বছর পেরিয়ে আসা দ্বিপ্রহর রাত্তিরে
কেমন আছো?
বছর তিনেকের বড়দিদি ;
কেমন আছো প্রাক্তন?