একদিন মধ্যরাতে তুমুল ঝগড়া শেষে
আমরা বিপরীতমুখী হয়ে শুয়ে
অভাববোধ করবো একটি লবনাক্ত চুমোর, কিছু অনর্থক মস্করা,
সিনার কাছে কানপেতে ঘুমানো।
তুমি নৈঃশব্দের জন্য অপেক্ষা করতে করতে মিলিয়ে যাবে শতাব্দীর শেষ পাদে।
অতপর আমি দেখতে থাকবো —
একটি নালিশবিহীন শান্ত মুখ।
কী অদ্ভুদ অলৌকিক ভয়াবহ নূরের সৌন্দর্যে ঝলমল করে উঠছে তোমার সোনালি চিবুক!
একটি অমিমাংসিত ঝগড়া বকেয়া রেখে
কিভাবে এতো ফুরফুরা মেজাজে ঘুমাও রাগিনী?
পুরুষ কেবলই নারীর ওমেই পরাজিত।
নারীকে ঝাপটে ধরে আধ্যাত্মিক স্বপ্ন দেখতে চায়।
যেমন সকল শূন্যতার মাঝেও
আমি তোমাকে ধরে আছি।
তুমি মঙ্গল থেকে ভূ-মধ্যসাগর পর্যন্ত নিজেকে যেভাবে দেখো,
তারচে’ বেশি কল্পনা করি তোমাকে
রাতের কর্ণফুলীতে সারিবাঁধা নৌকার লণ্ঠনের মতো যদি জ্বলে ওঠে রঙিন স্মৃতিরা,
যদি ঝগড়ার পরিসমাপ্তিতে তোমার ঘর্মাক্ত শরীরে
চুলে অথবা চিবুকে ডেকে ওঠে তৃষ্ণার বান —
তবে সব ভুলে এই অনুতপ্ত, শান্ত, স্থির পুরুষের বুকে এসো। একবার ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দাও।
দ্যাখো কিভাবে ঝাপটে ধরি তোমাকে;
তোমার উষ্ণতা শুষে অগণিত রাতের পর বাউণ্ডুলে হয়ে ফিরবো জাগতিক নিয়মে।
তুমি ছাড়া হলেও হোক সবকিছু খোয়া,
তবুও কি ভাঙাবেনা মুখফিরা শোয়া?