অনাদির অবাক সৃষ্টি
মহাবিষ্ময় মহাপৃথিবী
সৃষ্টির আদি অন্ত খুজে
বনে যাই বিমুগ্ধ তপস্বী।
নেই কেউ নেই মূলে
স্ব-সৃষ্টি এ বিশাল ধরিত্রি
মহামূল্য এ তত্ব বুকে ধরে
শির উচু করে বিশ্বঘুরি।
জ্ঞ্যানের অগোচরে অকারণে
কত করি তর্ক বিতর্ক।
শুধুই আমি ঠিক তুমি ভুল
মন নিতান্তই অপরিপক্ব।
যদি কেহ নাহি থাকে আগে
থাকবে না কিছু পরে।
যেহেতু বেচে আছি ভবে
আছে কেহ উপরে।
ক্ষমতার মূল যদি থাকেন কেউ ধরে
কার ক্ষমতা, আছে তার অধিকারে?
যুক্তির পিঠে যুক্তি দিয়ে
আসে নাই কোন মুক্তি
যুগ যুগ ধরে কত জ্ঞ্যানী
করেছে বৃথা পুনরুক্তি
যুক্তি তর্কে সঙ্গ স্বার্থে
হারিয়েছি মানব ভক্তি।
তর্ক এখন শুধুই অকারণ
বাড়ায় চরম বিভক্তি।
এসব মিছে মুর্খ বাচ্যে
খুজি না প্রভু তোমায়
আখি মেলে যাহা দেখি ভবে
জগতে সৃষ্ট যত বস্তু বিষয়
প্রশ্ন করি, কে তাহাদের স্রষ্টা তবে?
উত্তরে পাই শুধু তোমায়।
হাজার তব প্রশ্ন থাকে করব না আর কভু
বিনা দ্বিধায় নত মাথায় নিলাম মেনে প্রভু।
ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্রান্ত হতে বৃহৎ ইরাবতি
তব কে কোথা হতে দিলো প্রাণ।
কার সখে কোথা হতে হয় সৃষ্টি
গড়ে সুনিপুণ বসুধা বিনির্মান।
কার নিঃশ্বাস বায়ু প্রশ্বাসে ধরে
বেচে থাকা জীবের জগৎ-অভিযান।
ইন্দ্রীয়গ্রাহী শত দুঃখ সুখের সনে
তিলে তিলে জমে কত মান-অভিমান।
তবে ধ্যানে-জ্ঞ্যানে গড়ে বিশ্ব সুমহান
কেন কেড়ে নেয় প্রাণ ছুড়ে মৃত্যুবাণ?
আছে কেউ বসে, সৃষ্টি-নাশের মুলে, ইচ্ছাধীন ক্ষমতায়
আপন খুশিতে গড়ে, করে ধ্বংস সমুলে, দারুনসেচ্ছায়।
আচারে আলাপে, জানা-অজানার সমীপে
মিছে তর্কের অগ্নিঝরা শব্দ প্রবাহে
তব কত করি অপমান বিজয় মোহে।
আমজনতার শিরে, দিয়েছি সন্দেহের গিরে
বুঝেছি আমি আজ এ নহে মোর কাজ
আপন বিশ্বাসে তব সুখি হোক সমাজ
শুধু তুমি জানো প্রভু, যায়নি ভুলে কভু
লোকমুখে কহে হয়তো গেছি ভুলে
তাই নিয়ে আলাপে কত কী বলে।
সর্ব-প্রাঙ্গন জুড়ে, কল্পনার মুগ্ধ আচড়ে
থাকো তুমি বিরাজে বিশুদ্ধ বিশ্বাসে
তবে ভুলিব কীভাবে পাই অনিমিষে।
বলি যত-যায় মুখে, আছো অনিমিখে
তোমাকে ভাবি বিরলে, কভু বিলাসে
হৃদয়ের মঞ্জিলে আছো সদা সুভাসে।
তোমার স্মরণে, আজ নত শিরে বসিলাম প্রভু গৌরবে
পূর্নতা এল প্রাণে, শান্তি পেল মনে ভরিল তব সৌরভে।