দেখিতে দেখিতে চকিতে অর্ধযুগ
কেটে গেল বেলাগুলো অজ্ঞাতে।
সত্য নিয়মের নিত্য নিয়মানুগ
জমলো যে কত স্মৃতি অজান্তে।
সাধিয়া সাজিয়া আসো আজি
পুরান গল্পে জমায় প্রানের বাহার।
সাক্ষী থাকুক দূরের তারকারাজী
আমাদের গল্পে নেই উপসংহার।
আজি হাসি মুখে বসে বলি কথা
গোপনে থাকুক বেদনার ভার।
আজ দিনটা তবে কাটুক অযথা
না জানি কবে হয় দেখা আর।
হবে না উষার লগনে পা মেলে হাটা
না হবে মধ্য রাতে চায়ে চুমুক দেয়া
কত যে জমালে স্মৃতির ছিটেফোটা
বাহিতে হবে একাকি যতনে ঢাকিয়া।
চলতে চলতে জীবনের দীর্ঘ পথে
জানে না মন হারাব কে কোথায়?
সন্ধ্যা পড়ার আগে চলো একসাথে
গিরা দেয় বাধনের মূল সীমানায়।
বহুদিন পর অবেলার এক প্রভাতে
জড়ো হবে শত স্মৃতি বিষন্ন ক্ষণে।
হাসাবে কভু মনে কাদাবে অশ্রুপাতে
ফেলে আসা দিনগুলির স্মরণে।
বিরলে বিরাণে তোমাদের সনে
কত ঘুরিলাম বাধিয়া অধিকার।
যদি মোরে ভুলে কভু পড়ে মনে
এর চেয়ে বড় কী আছে পাবার?
রব না চির কাছে, যাব হয়তো দুরে
একসাথে হবে না কোন গল্প আর।
ব্যস্ত জীবনের সুধা-সুখ অলংকারে
স্মৃতিগুলা রবে মনে, শ্রেষ্ঠ উপহার!
আজি ক্রান্তিলগনে মনের আকাশে
বইছে উড়ে বিষন্ন মেঘের হাহাকার।
আর কি হে বন্ধু তব পাব কি পাশে
হারাবে না তো এ বন্ধন-আজিকার?
স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় কভু কটু স্বরে
যত দিয়েছি করুণ ব্যথা জনে জনে।
মার্জনা কর মোরে বিদায়ী প্রহরে
হবে না কোনো ভুল আর আলাপনে?
আমার যত পাপ নিছক অহংবাদ
যাও সব ভুলে আজ করুণা করে।
ক্ষমিয়ো, মোর আছে যত অপরাধ
জোড় ভিখ চাহি আজ বিনয়ী স্বরে।