ওই ঘন আবিরে, নিবিড় যতনে
কে আকিলো রে এই ছবি?
এলোমেলো সুরে পাখিদের গানে
উঠে দিবাকর প্রভাতের কবি।
কীরণের কেশ মেলে, জাগিলো সাগ্নির ছেলে
পুর্ব দিগন্তে করিয়া আলো
পুষ্পকলির ডালে, বসিল ভ্রমর ভুলে
নবজীবনের আশ ফুটিলো।
দীর্ঘ পথ আঁকাবাঁকা, উড়ে চলে বলাকা
শান্ত নদীর পথ ধরে।
নদীর উপকূলে, দোলে কাশফুল দোলে
পাখা মেলে পাখি সারেসারে।
জেলে ফ্যালে জাল, মাঝি তুলে পাল
কর্মচঞ্চল নদী দেয় পাড়ি।
ধীরে ধীরে হেঁটে, গৃহিণী আসে ঘাটে
ছাই দিয়ে মাজে ঘটি হাড়ি।
শীত শীত ভোরে, স্নিগ্ধ আবেশের ঘোরে
আখি মেলে দেখি সবকিছু।
এলোমেলো কুয়াশা, প্রভাতে দেখি ফরসা
গগণের সূর্য নিলে পিছু।
কৃষাণী উঠে জেগে, ফোটে পানি টগবগে
পাতিলে ভাত যখন রাধে।
ভোর সকালে উঠে, চাষী যায় মাঠে
লাঙল জোয়াল নিয়ে কাধে।