কবিতা আমার কাছে শব্দে আঁকা দৃশ্য। ভাল লাগা কবিতা আমাকে নিয়ে যায় কোন নতুন জগতে। সেই যাত্রা সত্যি বড়ই ভাল লাগার। যেমন, জীবনানন্দ যখন হাজার বছর ধরে পথ হাটে, তখন আমারও যেন ক্লান্তি বোধ হতে থাকে। সেটাই তো কবির সাফল্য। তার পাঠক কে নিজের সহযাত্রী করা। আবার যখন কবি ফররুখ সাত সাগরের মাঝির অভিযান আঁকেন তখন নিজেকে ঝড় বহমান উত্তাল সমুদ্রের মাঝে বড় অসহায় মনে হতে থাকে। আমিও খুঁজতে থাকি দক্ষ কাপ্তান কে।
অনেকে কবিতা কে শুধু মাত্র উপমা মনে করে। যদিও কবি জীবনানন্দ একমত ছিলেন না তার সাথে। উপমা থাকতে পারে কবিতাতে কিন্তু আমার কাছে কোন দৃশ্য কল্প না ফুটিয়ে তুলতে পারলে তা কবিতা হিসেবে পাঠ করে আনন্দ নেয়া কষ্টকর।
আরেকটা বড় বিষয় হল ছন্দ। ছন্দ হল আমার কাছে নানান রকম রঙ । একেক রঙ একেক রকম ছন্দ। হতে পারে তা স্বরবৃত্ত বা অক্ষর বৃত্ত। সনেট বা গদ্য ছন্দ। একেক ছন্দের রঙে একেক রকম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলে শব্দ শিল্পীন যার পরিচয় কবি বলে। তবে কবিকে শুধু মাত্র শব্দ শিল্পী বলা যাবেনা। আসলে কবি কে আরও নিবেদিত প্রান ও গভীর দৃষ্টির হতে হয়। যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। উনার কবিতা পড়লে শুধু সেখানে দৃশ্য টুকু দেখিনা আরও দেখি সেই দৃশ্যের পেছনের ইতিহাস। জীবনের দার্শনিক দৃশ্যপট।
যাই হোক আমার কবিতা রচনার চেষ্টা ভাল লাগা থেকে। কোন কিছু ভাল লিখলেও জীবনানন্দের মতে আমাদের মত যারা অন্য সব প্রধান কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে কবিতা লিখি, তারা হলাম উপ কবি, পুরো কবি নয় । যাক সে কথা, কবিতার জন্য নিবেদিত হতে পারিনি সেকথা সত্যি। মনে আসা কথা গুলো লিখলাম গদ্যে। তবে আমার কাছে কবিতা নিজেকে বোঝার একটা উপায়। আমি কেমন করে দেখি দৃশ্যগুলো । নিজের সাথে নিজের যেন আড্ডা। সে আড্ডায় স্বাগতম সবাই কে।