চার চারটে বাসার কাজ শেষে
ঘড়ে ফেরে মিতালীর মা,
মেঝেতে কাদামাখা মিতালী
মিতালীর বাপ ঘুমে,
দেখেই মিতালীর মায়ের মেজাজ উঠল তেঁতে,
দিনটা যাবে আজও অশান্তিতে...
আজ দুদিন কোন কাজে যাচ্ছে না
অলস লোকটা,
হয়তো কোন কাজও পাচ্ছেনা ।
রাগে বকবক করতে করতে,
মিতালীর মা চুলায় ভাত বসায়
কতকিছু হাতড়ায়, খুঁজে যায়,
শুধু দুটো আলু পায়।
ধুয়ে নিয়ে ও দুটোই হাড়িতে চড়ায়।
ঠিক এমন সময় চিৎকার শোরগোল....
ছুটে বের হয় মিতালী আর তার মা বাপ।
তারপর সব অমোঘ নিয়তির কারবার
ভাঙ্গা বস্তির পাশে
চুপচাপ মিতালী আর তার বাপ থাকে বসে,
বিলাপে রত থাকে মিতালীর মা
আরও দশটা মহিলার সাথে।
রাষ্ট্র যন্ত্র চলে কঠিন নিয়মে...
অবৈধ বস্তি কেন থাকবে আরামে..
বসবাসের এ অযোগ্য শহরে।
দুদিন বাদেই আবারও বসবে ঘড়
বাড়বে ঘড়ের অবৈধ ভাড়া,
মিতালীর মা দেখে আসছে জীবনভর..
বিলাপের মাঝেই চলে হিসাবনিকাশ তাহার
ছুটা কাজের মজুরী কত বাড়াতে বলবে সে,
বসে বসে মিতালীর দিনমজুর বাপের ঝিমুনি বাড়ে
মিতালী কাদায় মিতালী করে।