স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়
দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায়
    কবির কথায় আজ শুধু মন কেঁদে যায়
স্বাধীন হয়েছিল পরাধীন দেশ
খুশি হয়ে মা বেঁধেছিলো কেশ
      দিয়েছিলো হাত দেশের দশের সেবায়;
মায়ের স্থান আর মেয়ের মান
গৌরব গেথে শাসকের স্থান
         দিয়েছিলো তোমারে দেশ গরবিনী মা,
আজ এমন অগৌরবের দিন
মায়ের হৃদয়ও মমতা বিহীন
       দেখবে জগত ভূভারতে স্বপ্নকল্প ছিল না।
দুর্গন্ধের ইতিহাসের কবর খুঁড়ে
দুঃশাসনেরে নিয়ে মাতৃক্রোড়ে
               বাংলার দ্রোপদীর করিছ বস্ত্র হরণ
মত্ত পিচাশের দল আদিম লালসে
ছিড়ে খায় শরীর হায়েনার উল্লাসে
              মৃত্যুর পরেও অশ্রুত বিলাপিত ক্রন্দন!  
সবল সব শুধু  পিশাচের দল
জ্ঞানী গুণী সৎ অসহায় দুর্বল  
               তস্কর মহাজন হয়ে লুটে গরিবের গ্রাস
আইনের নামে আইন বিরুদ্ধ চল
কৃতকার্য মেধাবী এ দুনিয়ায় অচল  
          শাসনের নামে শাসনযন্ত্রের সীমাহীন ত্রাস।
স্বাধীনতা আজ অতি বড় কথা হ্যায়
কুকুরের মতো বেচে থাকাও  দায়
              ঘেউ ঘেউ করাও রীতিমতো আইন বিরুদ্ধ
সাবধানে থেকো সব জায়গায় মানুষখেকো
স্বপ্নহীন রাতে ভয়ের আবেশে ঘুমোতে শেখ
              সুন্দর আশা আখাঙ্খা গুলি করো নিরুদ্ধ।
তার বিচারের আশায় কত যুগ যাবে  
বেদনার অশ্রু ঝরে কতবার শুকাবে  
                     কে নেবে খোঁজ তার কার আছে মন    
  এতো নয় শাসন এতো নয় শোষণ
  হাবিয়ার পিশাচীর পাতাল কুটাসন  
                শাসকের কটাহে জ্যান্ত মানবমনের সুরন্ধন।