ধরণীর ধূলি তোমায় বেসেছি ভালো
হৃদযে প্রতিটি কণায় ছুঁয়ে দিয়ে যায়
জানিনা কেন আজ এতো লাগে ভালো
আঁধারে উঠলো জ্বলে প্রদীপের আলো।
আমার নয়নে সবই লাগে সুখের মুরতি
যা কিছু দেখি সবই লাগে ভালো
তনুতে পড়েছে বাধা অরূপের রূপ
হৃদয় লেগেছে তব প্রেমের আলো।
নয়নে যা কিছু দেখি নন্দিত ভবে
সবই লাগে ভালো সুখ অনুভবে
না জানি কেন আজ লাগিছে হেনো
জলে ভরে নয়ন অজানা অনুভবে।
যেন সব বাধা সহসা গিয়াছে খুলি
গহন আঁধারে প্রদীপ উঠেছে জ্বলি
আজি যাকিছু নয়ণে মধুর দেখি
সুখের কুসুম বনে যেন রয়েছি সখি।
অনাদি অনন্ত কাল পলকহীন
অমুদিত পিয়াসী নয়নে চিরদিন
সর্ব লভা প্রেমাগ্নি রূপসী ধরার
আস্বাদিবে হৃদয় মোর নিশিদিন;
বর্ষা শরৎ হেমন্ত গ্রীষ্ম শীতকাল
বসন্ত পল-বিপল দিবানিশীতে
নির্মিমেশ চোখে আদি অনন্ত কাল
সেই সুখ বিন্দুতে চাহি স্থির রহিতে ,
জীবনে রহিবে শুধু মধুর মাদনা
মুছে যাবে শোক তাপ বিরহ বেদনা
শুধু রবে আনন্দ সুখালোকরাশি
যাব চির সূখজ্যোৎন্সালোকে ভাসি।
রহিবে অধরে হাসির রেখা প্রতিক্ষনে
সুখের লাগি হবেনা যেতে মধুবনে
স্থির হয়ে থাকবে হৃদয়ে সুখবিন্দু
অনাদি অনন্তকাল সুখের শরদ্বিন্দু ,
বিধাতার কাছে মাগি ভিক্ষা বর
শক্তি দাও বাঁধিতে সময় ধরণী পর
সুখের সময় বিন্দু রাখবো বেঁধে
দুঃখ ফিরে যাবে শুধু বিফলে কেঁদে।
শক্তির কাছে জগৎ আছে বন্দি
অসীম শক্তি প্রেমসিঁক্ত মুক্ত মন
ছায়ালোকের ভরকেন্দ্রর সমান
বিরাট সূর্য তুচ্ছ তার কাছে অকিঞ্চন ।
আমি ভালোবেসেছি এই পৃথিবীকে
শরীরের প্রতিটি অনু ছুটে চারিদিকে
হৃদয় লভেছে আলোকর মত গতি
স্বর্গ মর্ত পাতাল এক বিন্ধুতে একি ;
আমার চারপাশের সবাই প্রেমময়
আকাশ পাতাল ধূলি নদী সরসের জল
মানুষ পশু কীট পতঙ্গ অনিল আনল
সবাইকে ভালোবাসে আমার আমি
প্রেমস্পন্দনে এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে সময়
তুমিও আমি আমিও তুমি সব প্রেমময়।