অভিলাসসিক্ত রূপরস মনোহারি
রূপযৌবন কুসুমের ন্যায় ক্ষণচারী ,
লভিতে হবে গুণ যাহা হরের প্রিয়
পার্বতী কৃশতনু এমনি বিচারী ,
       আরম্ভিলা সুকুমারী তমস্যা ভীষণ  ;  
প্রজ্বলি অগ্নি  চারিপার্শে আপন
গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রখর কিরণ  
অপলক নয়নে চাহি ভাণুপানে
দগ্ধপ্রায় চক্ষু মধ্যে করি উপবেশন
       কৃশতনু অগ্রাহ্য করি তমিশ্রারে সমন ।
সকল পক্ক ভোজন করিয়া বর্জন
অমৃত তারাপতির চন্দ্রের কিরণ
উদার নভের অযাঞ্চ বৃষ্টি বারি
তরুর পতিত পত্রে জীবন নির্বহন ,
               লক্ষ সিদ্ধি কিবা শরীর পাতন।
আতপে,কাষ্টঅগ্নিতাপে তনু সন্তাপে
তন্বিতনুর মুখপদ্ম যেন বাস্পে ভাপে
বরষায় অনাবৃত শিলাতলে শয়ন
বারিবিন্দু প্রহারে অধর নয়ন ,
          মানিয়া সকল তপস্যার কঠোর বিধান ,
পৌষে সহিয়া সুশীতল শিশির বর্ষণ
অকাতরে হিমজলে করি অবস্থান
ভাসিয়া রাখি অধরকম্পিত আনন
শীত সমাগমে নষ্ট সরোবরে পদ্মবন
               তথাপি হেমপদ্ম আনন শিবগরবিনী ,
শুস্ক পতিত পত্র করিয়া ভক্ষণ
পার্বতী করিত তপস্যার সাধন
অগ্নিজ্বলনে স্বর্ণ যেমন হেম বর্না
ত্যাজিয়া পত্র ভক্ষণ হলেন অপর্ণা
             সত্য শিব প্রেমে অপরাজিতা তপস্বিনী।