যার ভয়ে ভীত কম্পিত ত্রিভুবন
ব্যোমকেশ রূপ ভয়াল ভীষণ
দুষ্টের দমনে ভীষণ শূলপাণি
বামদেব রূপে দেন অভয়েরবাণী
            সকল জীবের প্রিয় পশুপতি তিনি ,
স্নেহের পরশে যার বনের মৃগ
নির্ভয়ে পাশে বসে,যিনি মৃগপাণি,
তবে কেন মৃগনয়নীর মোহন চাহনি
সহিবে ক্রোধাগ্নির বহ্নি কামদোষ মানি ?
                কিশোরী অপরাজিতা হলে অভিমানী।    
ফুলের সজ্জা ছাড়ি রাজকুমারী
ভূমিতলে সজ্জা নিলে সুকুমারী
পুষ্পাঘাতে অঙ্গে লাগে যার ক্লেশ
রাখি শিরপরি বাহুলতা অক্লেশ
                    বিনা উপাধানে করে নিশির যাপন ;
পরম স্নেহে ক্ষুদ্র বৃক্ষের লালন
কলসি বিগলি করি বারির সেচন
হাতে  লয়ে বনধান্য মৃগেরে দান  
বনের সকলের শীঘ্র করিল আপন
                   শাকম্ভরী বনমাতা করে বনের সৃজন।                                  
বল্কল উত্তরীয় করিযা ধারণ  
অগ্নি হোত্র আদি তপশ্চরণ
মন্ত্র শাস্ত্র অধ্যয়ন বিহিত পূজন
পবিত্র তীর্থ হলো গৌরির তপোবন,
                  রাজকন্যা ভিখারির প্রেমে হলেন তপস্বিনী।
যোগিনী শঙ্করীর  শুদ্ধ তপগুনে
প্রবীণ ঋষিও আসে তপোভূমে
বয়স নয় কর্মগুণেই  হয় মহৎ
নবীন কিশোরী হয়েও যোগিনী পারাবত
                  সত্যশিব প্রেমে ভুবনেশ্বরী হলেন ভিখারিনী।