নিজের ইচ্ছার মতো করে
   সব কিছু নিতে চেয়েছিলো গড়ে
দাপটে তার সবাই আশেপাশে
বনের পাখির মতো পড়েছিল ফাঁসে।
তার বুকে  জ্বলতো আগুন অনিমেষ
নিজের মতো গড়ে নিতে চেয়েছিলো শেষ;
শুধু চাইতো মনের মতো করে
    চারপাশের সব কিছু নিতে গড়ে ;
অনিমেষ তার ইচ্ছের আগুন জ্বলতে
  মনকে শুষে নিতো ইচ্ছের সলতে
বেপরোয়া ইচ্ছের মরণপণ
        জ্বেলেছিলো আগুন আজীবন ।  
    তার নিরেট খেয়ালের অগোচরে  
চারপাশে কত চারাগাছ গজে উঠতো অনাদরে
   শুস্ক নিরস পোড়ামাটি যেমনি হোকনা কেন
তার চাওযা না চাওয়া উপেক্ষা করে রক্তবীজ যেন
চারপাশে উঠত গজিয়ে লতা ঘাসের ক্ষুদ্র চারা
   বিনা সার বিনা জল বিনা রক্ষণের বেড়া  
তবু যেন কোনোদিন থেমে যায়নি তারা।
কিন্তু সে কোনোদিন দেখেনি  মাথা নত বা উঁচু করে  
মাটির ঘাস, বেড়ে চলা লতা কিম্বা অনন্ত আকাশ শিয়রে
যে আগুন নেভে নাই অসাঢ শ্রাবনে  
ফুল হয়ে ফুটবেকি সুবাস মাখানো ফাগুনে ?
একদিন শেষে সেই দিনটিতে এসে
যেটা ছিল শেষ নিশীথ রাতি নিভেগেলো বাতি;
     দেখেছো কোনোদিন অমোঘের ভুল কি      
বুকের মাঝে যেখানে জ্বলছিল তার আগুনের ফুলকি
          মাটির ফুলদানি হয়ে গেছে
            চারা গাছ লতা পাতা ধরে
          খুশি হয়ে সব দাঁড়িয়ে আছে।