শতশত শহর পেরিয়ে
            অনেক যোজন দূরে ,
জীবন যেথায় বাধা নেই
              শুধু- ব্যস্ততার সুরে ;
নেই কোনো কোলাহল যেথা-
            হৃদয়ের সরল সুরে
রচে নিতি বাঁচবার সুখ সেথা ,
            তরু ছায়ার শান্ত কুটিরে ;
কোনো এক নদীনির তীরে
            বহে যেথা ধীরে ধীরে,
বনের ধারে তরুর মেলা ,
         শাখে শাখে করে খেলা-
নাম না জানা বিহগ বিহগী
           সারা দিন সারা বেলা,
বনফুল ফুটে ওঠে সেথা
           ভরা ফসলের খেতে ,
ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসে
       আনন্দে মন ওঠে মেতে,
গান ওঠে হ্রদয়  আনমনে
         গ্রামের মেঠো সরল সুরে,
কেউবা কোথাও বসে আপনমনে
       সেথা বাজায় বাঁশি দূরে ।
বনের ফল শান্ত নদীর জল
           আর অন্ন দেয় মাটি ,
ক্ষুধার অন্নের কষ্ট নেই সেথা
         বাঁচার পথটা যে খাঁটি।
মেঘের কোনে সাঁঝের আগে
         সপ্ত রঙ্গি মেলা লাগে,
শীতল মনে সেই সন্ধিক্ষনে
       জীবণের প্রশ্ন অনেক জাগে ,
চাঁদের আলো ঝিলিক দেয়
            নদীর স্রোতের জলে ,
সন্ধ্যা তারার লুকোচুরি খেলা
      কালো মেঘের কোলাহলে ;
প্রদীপ জ্বেলে ঠাকুর ঘরে
           শাঁখ বাজালেই মাতা ,
শিশুরা সবাই ঘরে ফেরে
         এমন স্নেহর উদ্গাতা।
নীড়ে ফেরা বিহগের কুজন থামে
        আসে নেমে রাত্রি নিঝুম,
দিনের শেষে রাতের বেলায় আসে
          বনলতার স্বপ্নভরা ঘুম।
জানিনা কখন গিয়েছিলাম কিনা
         সেই দূর গাঁয়ে একা,
তবু মনে হয় যেন আছে বসে -
        সুধু গেলেই হবে দেখা ,
স্নেহের আঁচল  পেতে রেখে  
         প্রেমময়ী মাতা আমার,
জলে ভরা দুই নয়ন মোছে
            পথ চাহি বার বার ।