তুই ছিঁড়ে ফেলে দে আমার কাব্যের পাতাগুলি
আর স্যাঁতসেতে বিবর্ন মোলাটের প্রচ্ছদ,
আমি গরদ সাহিত্যের উন্মাদ উল্টোরথ।
ভেঙে দে হাতেগোনা,বুকের চব্বিশটি অস্থি
এই আমার কূপমন্ডুকতার চারকোণে বন্দী দেয়াল,
আমি শিমুল কাঠের ঘুণে ধরা এক খাম খেয়াল।
মুছে দে বাঁধা খেয়া ঘাটের শেষ পায়ের চিহ্ন
ভাসা ডুবো এ পদ্ম জীবনের বাঁচার সুবাস,
আমি বোবাটে এক ফ্যালফ্যালে আকাশ।
খ্রিষ্টাব্দের পাতায় কত চব্বিশে জুলাই বয়ে যায়,
আজ চার চারটে চব্বিশ শেষে আমি অভিমায়।
তোকে নিয়ে একটাও এনিভারসেরি পালন করা হয়নি,
দিতে পারিনি দামী সব এ্যাল ফ্যাশানে গিফট্ কিংবা বর্ষবরণ,
দেয়া হয়নি পার্কের কোন এক কোণে বন্দি যুগল প্রেমের আস্বাদন।
হয়ত দিতে পারিনি এ শতাব্দীর নব্য সভ্য ডেট কিংবা হ্যাংআউট
কোন এক শ্রাবণ ঘেরা অন্ধচোখা জমাট অনুরাগ ছাড়া,
খায়েশ,বসন্তের প্রভাতে শুধু একটি শিমুল ফুলেই তোর হৃদয় নাড়া।
লাল পেড়ে নীল রঙা একটি শাড়ী দিব বড্ড অভিপ্রায়
প্রথানুগামিতা ছেড়ে শুধুই তুই আসক্তির মোহমূর্ছায়,
যদি কখনো পূর্ণ হয় আমার শূণ্য পাঁজরের চব্বিশ অধ্যায়।
- ২৪জুলাই,২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ
ঋৃষিবেদ কুঠির।