সেই শূন্য থেকে নিঃশেষ,শত সহস্রবার হাঁটছি
দুর বহুদুর অগণিত পথে প্রান্তে পদচিহ্ন আঁকছি।
আলো-অন্ধকার আবছা,ছন্নছাড়া কতশত দিক
জীবন দেখেছি বৃত্তময়,চোখ জুড়ানো অধিক।
হাওয়ায় মিলায় অনেক মিলেছি শূণ্য মহাকাশে
জল-স্থল প্রকৃতি রংয়ে,পা মাড়িয়ে মেঠোঘাসে।
শৈশব কৈশর থেকে যৌবনের পরিক্রমায় কত যুগ
খুঁজি ফিরে বারবার এ জীবন আধার,শত দুঃখ-সুখ।
ভাবনার রথে চড়ে বৃথা মানে হাতরায় গভীর মনডুব
যত প্রলোভন হিয়ার সাথে,ত্রুটিহীন নিমগ্ন নিশ্চুপ।
আবেগ মেখেছি প্রিয়তম হয়ে,ভালবাসার আঙিনায়
নিঁখুত নাটক দখল নিল,প্রিয়তমার হৃদপদ্ম কোণায়।
আলোক ধাঁধাঁর রশ্মি গিলে জোনাক পোকার পতন
আঁকড়ে থাকুক মূল্য ধাতুর, হীরে-মানিক-রতন।
নিকষ ঠাহর হলো আচমকা! জোছনা উবে গেলে
ক্লেশ চুরির দায় আটকে পথিক,অলিক বহ্নি জেলে।
তীব্র যন্ত্রণার পিল হজম করে অদৃশ্য হবই তবে
চোখের জলে মেঘরাজি গড়েছি,আকাশে বৃষ্টি হবে।
তবুও থামিনি হেঁটেই চলেছি রহস্য ঘোচাব আমি
উদাস আমি সঁপেছি সবি,করুণা হয় যদি অন্তর্যামী।
গ্রহের ভিতর গ্রহ সাজিয়েছি নিপুণ পোক্ত হাতে
তবু বুঝিনি এই সংসার ধাঁধা,নিশ্চুপ কেঁদেছি রাতে।
বুঝেছি তখন এ উত্তাল মহাসমুদ্রের মাঝি আমি নই
সেজেছি বটে মহা কাপ্তান,ধরার হাল আমার কই?
বহুবার হেঁটেছি কতই ছুটেছি মহাজালের চিহ্ন ধরে
ব্যর্থ মৃত অঙ্কুর আবর্জিত আজ,আমি ক্লান্ত ভবঘুরে।
আরষ্ট শরীর শুধু নর কঙ্কাল রূপ, হৃদয় খুড়ে গুম
শ্রান্ত আমি ক্লান্ত পথিক,আমার অতৃপ্ত চোখে বড্ড ঘুম।