নীলা মেয়ে, ভোরের আভায় উঠিস কেন?
শিউলি তলে তরতাজা সে শিউলি যেন।
তুই শিশীর ফোঁটায় থাকিস কেন?
ঘাসের ডগায় এক বিন্দু হীরক যেন।
নীলা মেয়ে, সকাল বেলায় হাসিস কেন?
জানালায় উঁকি দেয় লালচে আলো যেন।
তুই গগন দিকে উড়িস কেন?
চায়ের কাপে গরম গরম ধোঁয়া যেন।
নীলা মেয়ে, দুপুর রোদে এত রাগিস কেন?
প্রখর চোখে চেয়ে থাকা ওই সূর্যি যেন।
তুই বিলের জলে ভাসিস কেন?
পদ্ম পাতায় জড়োসড়ো পারদ যেন।
নীলা মেয়ে, বিকেল হলেই থমকে কেন?
নদী পাড়ের ধবধবে কাশবনটি যেন।
তুই একাই বসে আছিস কেন?
ঘাটের পাড়ে বাঁধা ডিঙি নৌকো যেন।
নীলা মেয়ে, সাঁঝের বেলায় নীরব কেন?
দিয়ার পরে সলতে জ্বলা প্রদীপ যেন।
তুই ঐ পথের পানে চেয়ে কেন?
নববধুর সদ্য পরা হলদে শাড়ি যেন।
নীলা মেয়ে, তুই রাত্রী এলে কাঁদিস কেন?
গোলাপ ফুলের ঝড়া পাপড়ি যেন।
তুই মেঘলাকাশে থাকিস কেন?
ঝরঝরিয়ে নেমে আসা বৃষ্টি যেন।
নীলা মেয়ে, তুই মিছেমিছি এসব করিস কেন?
ক্লান্তি চোখে,নীড়ে ফেরা নীল পাখি যেন।
মেয়ে তুই কবি নেই,এটা ভাবিস কেন?
তুইতো শুধু হৃদয় নয়,কবির প্রাণটি যেন।