তুমি তাকে ভালবাসা শিখাতে যেও না কখনই
সে অতল ভালবাসায় তলিয়ে যায়;
গভীরতার মাপকাঠি জ্যামিতি বাক্সের কাঁটা কম্পাসে বন্দি করে বসে।
তুমি তাকে যতনে আগলে রাখতে যেও না কখনই
সে আগলানোর ভাষায় ভেসে যায়;
যতনের ব্যাকরণে ঘী ঢেলে সিক্ততা উহ্য করে তার একান্ত আকাশে ভাসে।
তুমি তাকে ভাল-মন্দ বোঝাতে যেও না কখনই
সে ভাল কিংবা মন্দের গুমড় ভেঙে দেয়;
নির্ণয়ের নির্ভরতা ধুয়ে মুছে দিয়ে উজানী খড় স্রোত সাঁতরে পাড়ি দেয়।
তুমি তাকে এই পথগুলো চলতে শিখিও না কখনই
সে পথের মানচিত্রে আঙুল দেখিয়ে যায়;
ভূগোলের গোলে লেলিয়ে ভাতঘুমে মগ্নতার আশ্রয়ে আপন গতিপথ গড়ে তোলে।
তুমি তাকে আদতে আঁকড়ে ধরতে যেও না কখনই
সে শ্বাসকষ্ট অনুভূতিতে জলবমি করে;
সদ্য গজিয়ে ওঠা পরগাছা ভেবে সোজা মগডালে সালোকসংশ্লেষণ ঘটায়।
তুমি তাকে তার প্রতি দূর্বলতার চিহ্ন টুকও রেখ না কখনই
অত নরম গুল্মলতায় ছেলেখেলায় বসে;
কচি নলনলে লতাগুলি চপার বোর্ডের চেপে ক্রমশ ছুড়ির আঘাতে টুকরো টুকরো করে।
তুমি তাকে আর অতশত কিছুই দিতে যেও না কখনই
সে তো তার মতন–ই লাগাম ছাড়াই ছুটবে সবে;
আর তুমি তো পাগলাটে কোন নষ্ট বাবার নষ্ট ছেলে কষ্ট করে পাশ করেছ ক'দিন হল? নিরেট অবয়বে।