একটা চুমু।আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ধরা
ভয়! বাড়ছে বুকের ধুকপুকানি,
ভাবছি বোধহয় কেউ দেখেনি।অথচ
চেয়ে আছে গাছের ডালে এক শকুনি।
মুখের ক্রিম, চুলে ব্র্যান্ডি শ্যাম্পুর ঘ্রাণ
ঠোঁটের লিপস্টিক।মিনিট পাঁচেক আটকে গেছে প্রাণ।
ঘুপচি আঁধার বাড়াচ্ছে ভয়!
ওইটুকুই এই পৃথিবীর দীর্ঘ সময়
তুমি বললে কেউ যদি হঠাৎ ডাকে
জমিয়ে চুমু ওই সময়ের ফাঁকে।
চুক-চাক বিশ্রী শব্দ ওঠে
জিহ্বা মাঝে।ঠোঁট গিলছে ঠোঁটে
কাঁপছে শরীর কাঁপছে ঠোঁট,
জনা দুই—বাকি পৃথিবী ঐক্যজোট।
তবুও কেউ কাউকে ছাড়ছি না তো
এবার কেলেঙ্কারি হবেই হবার মতো।
চেপেই থেকো খুউব করে
হায় হাওয়া! একটা যদি পাতা নড়ে
আচমকা জ্বলে উঠলো টর্চ বাতি,
দীর্ঘশ্বাস! ঢেউ খেলে বুকের ছাতি।
সাক্ষী রইল বনের শিয়াল
পিঠ ঠেকেছে শ্যাওলা দেয়াল।
বাড়ি ফেরার নাম গন্ধও নেই
প্রেম জমেছে জমুক,
না হয় ফের হয়ে যাক
সাঁটিয়ে একটা চুমু-ক!
( “নির্লজ্জ প্রেম কাব্যি”— প্রকাশিতব্য কাব্য)