শূন্য দৃষ্টি মেলে হতাশা চাদরে
আমাকে দেখিয়েছিলে একদিন ওই চোখ দিয়ে -
জনহীন পথের দুধারে নিস্তরঙ্গ ঝিল আর আকাশের নীল,
দেখিয়েছিলে বিস্তৃত সরিষার ক্ষেতের ওপারে দাঁড়ানো নিশ্চুপ হোগলা জারুল।
বাতাসেও নেই বেগ - নির্জন শব্দহীন দুপুরবেলা,
দেখিয়েছিলে ঝরে পড়া আলোয় ডোবা বিষন্ন বিকেল।
তখনই মনে হল ওই ঝিলের জলেইতো পদ্মফুল ফোটে
পানকৌড়ি দেয় ডুব কল্মিফুলে ফুলে জল-ফড়িংয়েরা ওড়ে,
মায়াবী বাতাস খেলে, ওড়ে প্রজাপতিরা হলুদ সরিষার ক্ষেতে।
একই নক্ষত্রের নিচে থেকে
তবু কেন দুইজন দূরত্বে হতাশা মেখে শুধুই নীরবতা,
আলোর পৃথিবীতে কেন মরণের আগেই শ্মশানের বিষন্নতা?
একান্ত বিশ্বাসে তাই বাড়িয়েছি হাত
বন্ধু সঙ্গী প্রেমিক হয়েই নাহয় দুজনে দেখি এই সচল পৃথিবীকে,
দেখি ঘাস ফুল প্রজাপতি সোনালী ডানার চিল,
হাওয়ায় দোলন লাগা সবুজ ধানের ক্ষেত
বহমানা নদীতীর কাশবন ঘেরা।
দুজনে একসাথে এস ধরি হাত
দেখি আকাশের ঘন নীল, শিশির ভেজা নির্মল ভোর,
দেখি আঁধার নামার আগে শিরিষের ফাঁকে রাঙা সূর্য গোলক।
অমূল্য জীবন খুঁজে পাক কবিতা প্রেম আলো - যত অন্ধকার হতাশাকে ভুলে,
নীরবতা ভেঙে হোক সরব জীবন,
বুক বেঁধে উদ্যমে সফল আগামীর পথে ।
এস দুই প্রতিবিম্বকে ঝিলের জলে সাক্ষী রেখে,
শূন্যতা ভেঙে গাই জীবনের গান -
ভোরের আলো গায়ে মেখে।
________________________
অমিতাভ (২৬.১.২০২৪) গৃহকোণ, সন্ধ্যা