( রীনা ও রণীত )

রী - কে রণীত না ?
জীবনের মধ্যাহ্ন বেলায় তুই দেখি তোর সাদা পাকা চুলে আছিস তো বেশ মজে,
উসখুসে তোর ভাসা ভাসা চোখ আজও যেন কিসব যেন খোঁজে।
র- তোকে কিন্তু লাগছে তো বেশ, হয়েছিস ভারিক্কি তুই,
চাহনিতে যদিও সেই রহস্য তোর আজও , দেখছি তোকে মন যেন তোর একটু বাধো বাধো।
কফি কাপের কফির সাথে লাগছে ভাল তোকে - ব্ল্যক কফির চুমুকে চুমুকে ।

রী - চাওয়া পাওয়ার হিসেবগুলো নাই বা হল আজ,
কি হবে বল ওসব ভেবে ,
তুই আমি আজ দুই মেরূতে সাদা পাকায় গেছি ঘেঁটে ।
র - হ্যাঁ রে,
তবুও সেই স্নানের শেষে হা হা চুলে তুই রেলিং ধরে নিচে ঝুঁকে,
আমি নিচে ভরদুপুরে ঘরে ফেরা এক পথিক, দৃষ্টিবানে আটকাতে চাই তোকে।

রী - আনমনা এক লাগামছাড়া তুই
বেমালুম তোর ভুলে যাওয়া, ভুলতে থাকা অহরহ তুই,
জানি এমনই এক মনকে পোষা পছন্দ তোর খুব।
র - অবিরাম তোর বলতে থাকা  
বকর বকর করেই যাওয়া
আমার যে খুব ভাললাগা - বকবকানি তুই।  

রী - উল্টো পাল্টা আলটপকা  কিছু বলে
তোর একে ওকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ায় ছিলিস সিদ্ধহস্ত তুই,
জানি খুব এই আছিলায় মজাও নিতিস তুই।
র - মুক্তোঝরা হাসি জানি পছন্দ তোর খুব।

রী - সবার মাঝে বাঁধনহারা
হাসি খুশি দেখতে তোকে
জানিস কি বেশ লাগে আমার ভাল।
র - একটু  কিছু খুনসুটিতে
গোমড়া মুখে বড় চোখে
দেখে আমার মন ভরে যায় তোকেই দেখে দেখে।

রী - চুপ করে তুই একাত্মতায়
আমার চোখের ঝিলে কি যে দেখিস মগ্ন হয়ে,
আমার কিন্তু  পছন্দ সেই তুই।
র - তোকেও রে ,
মন দিয়ে তুই লাইব্রেরিতে বইয়ের পাতায় মগ্ন হয়ে
অখেয়ালে সেই আঁচল খসা তুই,
ওপাশ হতে আমি চেয়ে বন্ধ বই হাতে।

রী - কি যে সব বলিস না তুই আজও
বদলাসনি তুই একটুকুও
র - না না ছিলাম তো বেশ ভদ্র সভ্য, তাই দেখেই তো আসতি কাছে,
তবে দেখলে তোকেই বদলে যেতাম রেসের মাঠে জকির মত,
মনে হত আষ্টেপৃষ্টে  জড়িয়ে  তোকে তীব্রবেগে ছুট
আরও  জোরে  আরও জোরে  তোকে নিয়ে ছুট।

রী - একেবারে  বধ্য উন্মাদ
র - চাইতাম আঁচড়ে  কামড়ে দিতিস  আমায়
রাগ হয়ে তুই নখ বসিয়ে জামা টেনে,
আমিও নাহয় তোকে  দিতাম একটু ফিরিয়ে।

রী - কি হবে বল আজ ভেবে ওসব এমন গোধূলি বেলায়?
র - আহ, হঠাৎ  বুঝি অনেক আলো দুচোখ  কেমন ঝলসে গেলো,
তবে কি মনের কোনে আজও  রীনা তুই,
জ্বালিয়ে চলিস আলোর  রোশনাই?
রী - ছাড় তো তোর আদিখ্যেতা
অপেক্ষাতে অপেক্ষাতে কখন যে সেই বৈরি  বাতাস লাগলো  পালে
ছুটলো  হাওয়ায়  নাও অজানা সব সুখের অসুখে,

আর তুই তখন উদাস, মাঠে তুই ধেনু চরাস, নেই কোনও  হেলডোল!

রী - চাওয়া পাওয়ার হিসেবগুলো নাই বা হল আজ,
কি হবে বল ওসব ভেবে ,
তুই আমি আজ দুই মেরূতে সাদা পাকায় গেছি ঘেঁটে ।
র - হ্যাঁ রে,
তবুও সেই স্নানের শেষে হা হা চুলে তুই রেলিং ধরে নিচে ঝুঁকে,
আমি নিচে ভরদুপুরে ঘরে ফেরা এক পথিক, দৃষ্টিবানে আটকাতে চেয়ে তোকে।
__________________
অমিতাভ (১৭.৮.২০২৩)