এমনই বাদল দিনে নিভৃতে মনের কোনে
কিছু কথা কিছু ক্ষন বৃষ্টি হয়ে ঝরে
মনেরই আকাশ হতে ওরা ঝরে আনমনে।
বরিষণ শেষে রক্তিম সাঁজ গোধুলিবেলায়
ধুলো ঢাকা মনের আঙিনায় ওই আল্পনা হয়ে ওঠে ফুটে,
সেদিনের এঁকে রাখা রাতুল পদচিহ্নগুলো।
ইদানিং শুনিনা তো সেই সপ্রসংশ কথাগুলো আর -
বাহ্ নতুন পাঞ্জাবিটা তো তোমার বেশ
তবে পাকছে সাথে দাড়ি ও মাথার ওই কেশ !
কেন রাত্রি হলেই বড় সুনসান বিরান লাগে
নেই গুঞ্জরন নেই তো কোনও তাগিদ শুতে যাবার,
মাদক সেই মধুগন্ধ গায়ের পাইনা তো আর,
অখেয়ালের হাত আর পড়েনা তো নরম বুকের নিবাসে !
মধ্যরাতে শুনিনা তো বলতে কোনও শীতের রাতে -
উঃ কি যন্রনা ! চাদরটা পুরোই নিলে টেনে?
ঠান্ডা আমারও যে লাগে।
কোথায় যে সেই ঘুমঘোরে ছড়িয়ে থাকা হাতে
নরম শরীরের উষ্ণ ছোঁয়ায় জেগে ওঠার আহ্বান ,
সেতো আজকাল ছোঁয় নিষ্প্রাণ বালিশের হিম শীতলতা !
কেন কেউ বলেনা আর - আচ্ছা হচ্ছেটা কি?
কানে কথা ফিস্ ফিস্, জলযাত্রায় উৎসাহি নাবিকের প্রয়াস ।
কোথায় যে সেই আঁধারে আলোর জোনাকির হুল্লোড়,
হোলির দিনে মন মাতিয়ে রঙিন হওয়ার রেশমী আবেশ !
কেন যে আজ ঘরময় দেয়ালে ঝোলানো কিছু ছবিদের নিরেট নিঃশব্দতা?
নেইতো কোনও হুজুগ নেই নালিশ অভিমান নেই ব্যস্ততা কোনও,
কান পাতলেই শুনি পাতা ঝরার শব্দ অনিবার,
এমন বাদল দিনে বিবর্ণ হেমন্তের সন্দেশ - স্মৃতির শ্মশানে!
____________________________
অমিতাভ (২৭.৮.২০২১) গৃহকোণ