রাতের গভীরে শোনা যায় শ্মশানের নিঃশ্বাস!
মজলিসের খোলস খুলে বেরিয়ে আসে নিশাচর,
আস্ফালনে উত্তাল হয়ে ওঠে যজ্ঞ সঙ্গম।
পেঁজা ঘুমের দেহ জুড়ে ঘুরতে থাকে সিলিংফ্যানের শব্দ,
শ্মশান কোথায়? শ্মশান এখন জীবন্ত লাশকাটা ঘর; নিয়ন আলোয় মোড়া শহুরে পাকা রাস্তা ধরে গিয়ে মিশেছে -
মেঠোপথের গেঁও আধারিতে।
চৌরাস্তার সন্ধিক্ষণে শোনা যায় শ্মশানের নিঃশ্বাস!
দাঙ্গা কারফিউ কোথাও নেই, রঙবেরঙের স্বতন্ত্র মিছিলে থমকে যায় মুহূর্ত।
বিচ্ছেদের নজির রেখে গেছে সিগনাল ভাঙা অপঘাত।
শ্মশান কোথায়? পুড়ছে যা কিছু বোধে মৃত।
বহু ফসলি জমি থেকে শোনা যায় শ্মশানের নিঃশ্বাস!
সাপ-বেঁজী লড়িয়ে দখল করে খামার, শোনা যায় উল্কামুখী কোরাস।
রক্তবীজ বেড়ে ওঠে সেচহীন বুকের ফালটে,
প্রবাসী কঙ্কালের ভিতে নির্মানের ধারাবাহিক নিদর্শন
গিলে খায় দৈন্য ঘরের আলো।
সামরিক সংঘর্ষ প্রান্তিক অভ্যাসের ডেলি-রুটিন,
ঘুরে বেড়ায় তস্করি তক্ষক।
শ্মশাণ কোথায়? বিশাল গোলাকার আস্তাকুঁড়ে শোনা যায় মৃতজীবী ছত্রাকের পরজীবী নিঃশ্বাস।
বিতর্কিত বন্ধুত্বের সমালোচনায় শোনা যায় শ্মশাণের নিঃশ্বাস!
পিটুইটারী থেকে নেমে আসে অচেনা সত্ত্বা অগোচরে; রহস্যের খোসা ছাড়ায় সন্দিগ্ধ উন্মাদনায়।
বিভ্রান্ত রাতালাপ গুজব ছড়ায়, অজুহাতে ঢেকে রাখে ব্যাধি।
শ্মশান কোথায়? নির্বিবাদে ক্ষয়ে যায় পরিচয়হীন বন্ধুত্বের সম্মোহনে।
বিচ্ছেদের অকাল বৃষ্টিতে শোনা যায় শ্মশানের নিঃশ্বাস!
ঘরের ভেতর ঘর খোঁজে নিরাশ্রয় বিমর্ষতা,
পতনের হাতে সংরক্ষিত অবশেষে মূর্তি ভাঙা পাথর পড়ে থাকে।
শ্মশান কোথায়? সুঠাম সিন্দুক বহন করে নিহত স্বপ্নের কবর।
বিপণনের শহর নিলামে বেচে নিরাপত্তার চুক্তি,
সম্ভ্রান্ত ভিলা থেকে শোনা যায় অন্তর্দ্বন্দ্বের বিদ্রুপের হাসি।
স্ট্রিট লাইট আর গাছেদের ব্যাস্তানুপাতের নিচে ঘ্রাণ নেয়
ফুটপাতের ফুটন্ত খিদে।
কোলাহল নিরাপদে বাড়ি ফিরলে, সক্রিয় হয় বিকৃত পরিসেবা।
শ্মশান কোথায়? নৃসংশতা - নিয়ন আলোয় মোড়া শহুরে পাকা রাস্তা ধরে গিয়ে মিশেছে; মেঠোপথের গেঁও আঁধারিতে।