উলুখাগড়ার বন জ্বলছে,
পোকামাকড়ের গর্তে ধুকেছে বেনো জল -
তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত, বিষধর।
বিস্ফোরণের আশায় বিলি করে প্রতিবাদী লিফলেট,
ঝিঁঝিঁদের চিৎকার শোনে কে?
মেরুদন্ডহীন বধির খিদে বোঝে না হক।
এ এক গহীন জঙ্গল, বিভ্রান্ত জোনাকিরা দলছুট,
শহুরে রাতের নির্জন গলিপথে।
নুন্যতম সুযোগ কেড়ে বিক্রি করছে আলো চড়া দামে।
পূর্ণগ্রাসের যোগ্য চলছে, নখ -দাঁত ধরালো হচ্ছে, আগাছায় ঢেকেছে রাজপথ।
ইষ্টের নেপথ্যে দাবা খেলে রাজশাহী আর পৃষ্ঠপোষক।
সাফল্যের দূরদৃষ্টিতে আতঙ্ক উঁকি মারে,
উৎকৃষ্ট করে তোলে লড়াইয়ের দক্ষতা, বাড়িয়ে তোলে শক্তিকোষ, যুদ্ধ আরো কঠিন হতে চলেছে।
বৃষ্টি ধোয়া চোখে একটু একটু দেখতে পাচ্ছি!
অন্ধকার থেকে অন্ধকারের অভিযানে বড় ক্লান্ত,
ব্যর্থতার পাশে ওরা কেউ আসেনি, কেউ না,
না প্রেম না হিতৈষী না সহযোদ্ধা।
ফিরছি! বিষণ্নতা মাড়িয়ে, বিজ্ঞাপনের দেওয়াল ঘেঁষে,
নর্দমা ডিঙিয়ে, রুগ্ন গণিকার স্বচ্ছতা নিয়ে ফিরছি।
পূর্বাহ্নের পীতবর্ণ ধরে হাঁটছি, মা তোর ছিন্নভিন্ন আঁচলের ছায়া, রক্তাক্ত কোল, ভাঙাচোরা ঘর। ফিরছি!
ফিরছি নদী পথে!