জ্বলছে শ্যামল ধরাধাম তো
উষ্ণায়নের রাগে।
শিলালিপি হয়েছে বালি
মানে বোঝার আগে।
গলছে বরফ নিঃশব্দে,
লাভার সাগর স্নান।
পাপের ঘড়া উপচে পড়ে
লোভের নেইকো ত্রাণ।
পুকুর ভরা পানায় পানা,
মৃত মাছের ঝাঁক।
শালুক পদ্ম ফুটে ওঠে,
বুকে ভয়ের পাঁক।
রক্ত যাচাই কোরে যদি
হতো মান-হুশ গণ্য,
জানা যেত আদৌ মানুষ,
মানুষ নাকি পণ্য।
দেওয়াল ফেটে অশ্বথ বট
জীর্ণ আদি বাড়ি।
আমি বোধহয় সেকেলে ভাই,
তাই করলে আড়ি?
ছোট্ট চারা, ছোট্ট আশা
ঘরের আর্দ্র কোণে,
ফুল চাই না, ফল চাই না
থাকুক তো আনমনে।
রাবণই আজ পুরুষাদর্শ
রাম গল্পের বই।
শেকড় ছুঁলো কৌশিকী জল,
জানকি পেলো কই?
সন্ধ্যে হতেই রাত অব্দি,
বসে সুখের বাজার,
ওসব রসদ পাই না বলেই,
মুখটা বেজায় বেজার।
তোমরা সবাই যুগোপযোগী
আমিই ভাবি ভুল।
কাঁটা ভরা ক্যকটাসেও তো
ফোটে প্রেমের ফুল।