আমার বুকে বিষাদবন আছে
যার কিনারায় লালচে ইঁটের বাড়ি।
নামবে তুমি আয়নাসিঁড়ি বেয়ে
পল্লবিত ছন্দে নির্ঝরিণী?
পাখায় জমে হর্ষবিষাদ শিশির
মুহুর্তেরা সঙ্কোচে লেপ ঢাকা
ভানুমতীর বাক্সভরা ভুলে
আমি যেন বোতল-আঁটা দানব।
অথবা হও স্নিগ্ধ আম্রকানন
যে শীতল বুকে দিচ্ছি ডুব গভীর।
তরুর শাখায় বিষণ্ণ বাজপাখি
যার কিরীটে শাল্মলীবন বিরাট।
কখন সারংপাত্রে রোদের নেশা
ঊষর অগ্নিকোণে উঠছে ধোঁয়া-
বসব যখন চালের কাঁকর বেছে
পড়বে ঝরে তারা টাপুর-টুপুর।
শিকড় খুঁজে জল দিয়েছ তাতে?
ওই স্পর্শে হল পাষাণ হাসনুহানা।
ডুবিয়ে দাও আমার বৃক্ষরাজি
অক্ষিগোলক নিষ্কাশিত প্রেমে।
রুগ্ন আমি মুগ্ধ চোখে দেখি
শ্রাবণ হয়ে ফিরছ উথাল-পাথাল-
বেপথু দেহে ফুটিয়ে ফল্গুধারা
বইবে আমার বুকে, স্রোতস্বিনী?