সারাদিন গুনেছ বসে পলাতকা প্রহরের ডাক।
বৃষ্টি হয়ে মিশে আছে স্মৃতি রডোডেন্ড্রনের ঝোপে-
আঁচলে হয়তো লেগে শবনম দু ফোঁটা।
শরীরে আজ পাহাড়ি কুয়াশা নেমেছে ভারী হয়ে।
লেবুপাতার একাকী ছায়ায় বসে ভেজে কাক।
নির্জনতার উপকণ্ঠে মেঘের প্রাচীর হয়ে ওঠে আরো গাঢ়,
গ্যাসবাতিগুলো নিভে গেছে ধোঁয়াটে খোলস ছেড়ে।
আষাঢ়ের ঢেউ ওঠে সবুজের অতলান্ত কায়ায়,
মালিনীরা ফিরে গেছে একে একে,পড়ে আছে রিক্ত বীজ।
পূবালী বাতাসে উড়ে যায় ঐ উন্মুক্ত কেশরাশি-
চা বাগানদের পিছনে ফেলে আমরা মিলিয়ে গিয়েছিলাম উদাসিনীর দিগন্তে।
নেপালি বাঁশির বৃষ্টিতে কি এখনো ভিজে বেওয়ারিশ মাইলফলক?
পাথরে পাথরে উন্মাদিনী এঁকে চলে আজও অজানার কোন ছবি?
শালের বনের কুয়াশারা ঘন হয়ে আসে দুচোখে,
সিক্ত কোলে মাথা রেখে ঘুমাও এবার,সীমন্তিনী।
যে কথা বলার ছিল নীলাভ বসন্তের বনে,
আজ সেই কথা উঠেছে বেজে। শ্রাবণসমীরণে।