এইখানেই তো ছড়িয়ে দিয়ে চুল,পিঠ ডুবিয়ে সাঁঝবাতিদের ঘ্রাণে,
প্রেম আসত নীলচে আলোর মতো-ঘুমের ভিতর মানে,অভিমানে।
বাসন্তী ওর স্নিগ্ধ হেঁটে যাওয়া,শাওয়ারধারায় ভিজত শাবানা,
তোয়ালেমাখা আজকে ধূসররসে,গড়িয়ে পড়ে টুকরো জলের কণা।
কাজের মাসির আসতে বেলাদুপুর,কানের কাছে অপেক্ষমাণ বেতার,
নিখিল ভুবন আছড়ে পড়ে তারে-বিলম্বিতে বাজছিল কোন সেতার।
মরীচিকার হঠাৎ কান্না শুনে,নোনতা স্বাদে মজেছিল পিঁপড়ে।অভুক্ত।
মাসি এসে দরজা খোলে ধীরে।সারামেঝে মাখামাখি-শিরাকাটা রক্ত।
তবুও জ্যোৎস্না,তবুও গন্ধধারায় বাগান ভরে বসন্ত পঞ্চমী,
দূরের নীলে হাতছানি দেয় ধোঁয়া,দুয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
যাওয়ার যদি এতই তাড়া ছিল,রাখতে পারতে একটা-দুটো হাসি,
মহাকালের ওপার থেকে এসো,ধুন শোনাবে চৌরাশিয়ার বাঁশি।
আমরা ছিলাম বৃষ্টি অবিরত,আকাশটা নিয়ে ঝাঁপাই সমুদ্দুরে,
প্রেমের মাঝে কাটত কখন বেলা,সলজ্জ মন ভিজত রোদ্দুরে।
কখনো কখনো জঘন্য আদরে ঠোঁটের ওপর ঠোঁটের কারিগরি,
উত্তাপে ডুবত দুটো মন,শরীর জুড়ে বাজত দরবারী।
তখন কত রাগের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ক্লান্ত দেহে প্রেমের মেহফিল,
গুলাম আলি,আখতারিবাঈ গানে ফতুর হতো সুরের তহবিল।
এখন শুধু অবান্তরের ভিড়,কবর ফুঁড়ে ফুটেছে হাসনুহানা,
ছায়াপথের নামহীন এক বিকেল কাটাব শরাব,আমি,শাবানা।