যদি কোনোদিন আমি চলে যাই একা সাইকেল চড়ে
ডালিয়ার বন চিরে অনামী সঙ্গদোষে অল্প অবকাশে-
যেখানে ফাল্গুনী পথ এসে মিশেছে পাহাড়িয়া মোড়ে,
সেইখানে পোস্টবক্স খুলে, পৃথুলা ও সরণীর পাশে
আলগোছে পড়ে নিয়ো আমার পুরোনো নামগুলো।
হেমন্তের দীর্ঘ দুপুরে মেঘ কেটে পেয়েছো যে টাকা,
কাছিমের বাক্সতে বার্নিশ করা যেই জায়ফল ঘ্রাণ-
সেইখানে বাঁশপাতাচাবি ঐচ্ছিক তাড়নায় রাখা।
প্রজাপতিগহ্বরে একা সেই তরুণীর স্নান
দেখেছ কি অনিমিখে, হাতে রেখে শালুমোড়া পুঁথি?
অথবা যে রাগিণীর মীড়,খুলে খুলে পড়ে রাঙাসুতো,
কুড়াতে কুড়াতে চোরাবালি গড়ে নিয়ো একখানা ডিঙি।
বিচ্যুত সময়ের যেই কাশবনে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছ কত,
সেই মাঠে ফেলে যেয়ো ঘুড়ি- মাঞ্জারা তপ্ত ও আফিমী-
আর কত ঋণ থেকে যাবে? আঁচলেতে বেঁধে নিয়ো ধান।
পালকিতে নবান্ন এলে শ্রাবস্তীরঙে লিখো নাম।
আমার পুরোনো সেই ডাক,খুঁজে দেখো, ছিঁড়ে গেছে খাম।
শার্শীতে শেষ তারা জ্বলে,সীমন্তে সিঁদুরের ক্ষত-
মিথিলার রাত হলে শেষ, রোদে ডুবে যান তথাগত।