১.
অজানার প্রস্তরে লিখে যায় কবি।
নি:স্তব্ধ নদীতীরে একাকী বাতাস-
কেতকীনিরাশাবনে হারিয়েছে চাবি।
তবু কেন শব্দপাখির নেভেনি শ্বাস?
রাতভেজা খড়কুটো,ভেসে যায় জলপিপি,
এজম্মের সব হিসেব মেটানো পাণ্ডুলিপি।

২.
তবু,আমার সাথে হাঁটতে পারতে আরো কিছুটা পথ,
থাক না হয় আজকের জন্য।স্বর্ণালী রাতের
গভীর নৈ:শব্দে এবার নামবে জোনাকির আলোরথ।
তরবারি শানিত মেঘ যেন,ধোঁয়ার কূণ্ডলী আদপে কাফের।
মিলের সদ্যছাপা কাপড়ের মতো তোমার আজকের মন,
শ্রমিকের রক্তের দাগ লেগে,মুমূর্ষু জলস্রোত ভাসায় মহুয়ার বন।

৩.
মালাবার ঊপকূলে ভিড়েছিল প্রথম যে বাণিজ্যতরী
লালচে আলোর স্রোতকে কম্পাসের কাঁটায় বন্দি করে,
গুহার অন্ধকারে তা আজও অপেক্ষা করে অন্য সামুদ্রিক পশরার।
হতাশ পারশ্যমেঘ ঢেকে দিয়েছে প্রেতের দীর্ঘ অপেক্ষার রাত।

৪.
স্বাদকোরকে জ্যোৎস্নার অবাধ্য জল জমে ধীরে-
গতরাতের মদিরাসক্ত চাঁদকে যেমন করে ছাদের সীমান্তবিস্তৃত
তার করেছিল আটক।মায়াপরীদের আত্মাহুতির পরে
ঘোটকী খুরের দাগ মিলিয়েছে হাওয়ায়।তোমার চোখ বেদনাআশ্রিত,
ষড়জের প্রথম জাগরণ যেভাবে জাগায় স্পন্দন ধৈবতের নীল চুড়িতে।