যে অরণ্যে পড়েনি রোদের পা
সেইখানে একফালি জমি,
কয়েকটা এলোমেলো ফুলের গন্ধ,
একধামা কণকচূড়ের খই
আর তোমার শ্যামলা কোল-
এই নিয়ে কেটে যাবে বাকি দিন।
বিহানবেলার আকাশে ঘূর্ণি কেটে
গাছের গ্রন্থি ছোঁবে চিলের দল,
পরকীয়ার আনন্দে যবে মাতোয়ারা উড়োমেঘ
শানিত ছোবলে ঢেলে দেবে বৃষ্টির শব্দ,
আমরা এক আকাশ বিস্ময় হয়ে
নিজেদের দেবো মেলে হিমিকায়, আঁধারে।
রূপোর নাকছাবির মতো জ্যোৎস্নাকে
বড় করো কোলেপিঠে, যেন নেহাৎ মূঢ় শিশু।
তখন আমার গভীর ঘুমের বনে বাঘ আসে
চারিধারে মেপে নেয় নিজের হলুদ সাম্রাজ্য,
তারপর জ্যোৎস্নায় ডুব মেরে
হরিণের রূপ ধরে ছুটে যায় বন থেকে বনে,
পায়ে পায়ে ফুটে ওঠে তারা শতধা।
নগ্ন তুমি কুড়িয়ে পাতার ফাঁক থেকে
গায়ে মাখো রোদের সাবান।
ইভের আদিম স্নান কি এইভাবে দেখেছিল আদম?
নিভৃত কুয়োয় জমেছে জলের দাগ, ভারী-
তুমি উঁকি মেরে চাও
হে আমার দ্রাক্ষাবনের পরী,
দেখো আমি শুয়ে আছি বুকে নিয়ে সারসের ডাক-
আমার দুই চোখ জুড়ায় দীর্ঘছায়া, মলিন ঝাউপাতা।