(এই কবিতাটি কবীর সুমনের "তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা" গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।সুমনের গানের উৎস কবি শহীদ কাদ্রীর একটি কবিতা,যাতে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে সুরারোপ করেন গানওয়ালা।)
আমার স্বপ্নের কুচকাওয়াজে ভারী বুট চিরে ওঠে সুর,
গোলাপ বেড়ে উঠছে উদ্যত নলে,ট্রিগারে ইতস্তত হাত।
আকাশের সার্চলাইট অহরহ খুঁজে মরে জখম প্রেমের দেহ,
সাঁজোয়া উদারতা ছুঁয়ে যাবে ঠিক হালকা বাদামী চুলের গোছা।
কাগজলণ্ঠনে জোনাকির আভা-জলপাই পোশাকের সেনানী
একে একে স্টেনগান বিসর্জন দিল অলকানন্দা স্রোতে,
তুলে নিলো হাতে বারো তারের তামাটে গিটার।
অশ্বখুরে বিপ্লবের রঙ।
স্নেহবৃষ্টিতে ভিজছ তুমিও,ঘনচুলে আলেয়ার ছায়া।
অবাক আমি দেখি-বোমারু বিমানের তীক্ষ্ণ রব
আকাশের পরতে পরতে ঢেলে যাচ্ছে রূপোলী তারাভস্ম।
তোমায় প্রদক্ষিণ করে ওরা হাঁটু গেড়ে বসে-
একশোটা হাত অভিবাদন জানাচ্ছে তোমায়,
বেয়োনেটের ডগায় একশোটা নির্ভীক গোলাপ।
তোমার রক্তাক্ত আঁচলে মোড়া আগামীর তুলতুলে দেহখানা-
শূন্যে ফ্লেয়ারের আলোকসন্ধ্যা-লালচে ঊর্বরতা তোমার শরীরের পাকে পাকে।
আমার গ্রেনেডের পিনে উড়ে এসে বসে প্রজাপতি।