শতাধিক সহপাঠী ছিল মহাবিদ্যালয়ে,
করছি স্মৃতিচারণ আজ এই সময়ে।
আমাদের রতনমনি সদাহাস্যময়,
এমন লোক ত্রিভুবনে খুবই কম হয়।
আমাদের মৃত্যুঞ্জয় কালজয়ী প্রতীক,
এমন বিরল লোক সব দিকে সঠিক।
আমাদের দ্বিজলাল বলে উচ্চস্বরে,
এমন লোক খুবই কম এই আসরে।
আমাদের মহাবিজ্ঞানী সোমেন রয়,
আরডি স্যার বলতেন এই নাম হয়।
আমাদের মতিলাল অতি মজাদার,
কবিত্বের প্রতিভা ছিল শ্যামল শর্মার।
রাজু, মিহির ও সিদ্ধার্থ ত্রয়ী ধর্মনগরের,
সেরা উদাহরণ এক অনন্য বন্ধুত্বের।
কল্পক ও পুলক ছিল এক সেরা জুটি,
সারা দিন থাকতো একত্রে এই দুটি।
কমলপুরের সঞ্জু পাল কে সত্যিই মনে পড়ে,
শুনেছি সে দূরে চলে গেছে ইহলোক ছেড়ে।
দক্ষিণ ত্রিপুরার আবুল,বিজয় সহ আরও কত,
সন্ধ্যায় নেতাজি কর্নারে সবাই হতো মিলিত।
কৈলাশহরের দিবাকর, সৈকত ও রক্তিম,
তাদের বন্ধুত্ব ছিল সত্যিই অকৃত্রিম।
উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিল অনিরুদ্ধ ও দীপক,
জয়দীপ এর মধ্যে প্রতিভা অনেক।
আমাদের ওস্তাদ ছিল দেবেশ ওরফে চয়ন,
জানি না তাকে মনে রেখেছে কত জন।
পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ছিল পঙ্কজ দে,
অনেকদিন পরে তার দেখা পাচ্ছিনা যে।
রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্র ছিল দীপঙ্কর,
জানি এখন হয়েছে সে ডেপুটি কালেক্টর।
আমাদের তুষার কথা অনেক বলতো,
গৌতম দেবনাথ, আর ছিল দুই সুকান্ত।
রসায়নের সম্পা, বিনিলিসা , নিবেদিতা,
অনেকের মধ্যে মহামায়া,গৌরী ,রাখী, জয়িতা।
আব্দুল হালিম ছিল অর্থনীতির ছাত্র,
গনিতের ক্লাসে দেখা হত প্রতিনিয়ত।
সামসার আলী ছিল শহর উত্তরাঞ্চলের,
রামানুজ সিনহা ছিল কৈলাশহরের।
রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের সেই স্বর্ণালী দিনলিপি,
স্মৃতির আলপনায় আজ কাব্যের পান্ডুলিপি।
এই ক্ষুদ্র পরিসরে সবার কথা হয়নি যে বর্নন,
লিখব অন্য সময়, এই বলে করছি সমাপন।।
-------
রচনাকাল -২০২০ ইং