বৈশাখী রাতে চারদিকে ঘনিয়ে এসেছে।
নিস্তব্দতা।

ঘুমিয়ে পড়েছে প্রকৃতির সব সৃষ্টি।

চারদিকে কেমন হালকা ঝড় বাতাস বইছে।

ওই দূরে দেখা যাচ্ছে কিছু আলাে মিট মিট
করে জ্বলচ্ছে।

প্রকৃতির নিস্তব্দতার সঙ্গী হয়ে আছে
পূর্ণিমার চাদটা।

হিম বাতাসে যেন উজার করে ছড়িয়ে।
দিয়েছে আলাের বৃষ্টি।

বাড়ির চারদিকে ঘােটা কয়েক বৃখ আকাশ
চুম্মি হয়ে আছে।
উঠানের মাটি গুলাে চাঁদের আলােয় চিক।
চিক করছে।

উঠানের মধ্যে শীতল পাটিটায় শুয়ে আছি।
একা।

খুব মনে পড়ছে আজ তােমায়।

এইতাে গত পূর্নীমায় ও তুমি আমার পাশে
ছিলে।

সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তাে,
শীতল পাটিটা বিছিয়ে দিতাম উঠানের
মধ্যেখানে।

আর আমরা সেইখানে বসে বৈশাখী পূর্নীমার
চাঁদের আলাের বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টি বিলাস
করতাম।

মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া উড়ে যেত তােমার।
চুল গুলাে।

আমি শুধু চেয়ে দেখতাম চাঁদের সােনালী
আভায় উড়ন্ত চুলের এক নারীকে।

যাকে কিনা বিধাতা শুধু আমার জন্যই সৃষ্টি,
যাকে কিনা বিধাতা শুধু আমার জন্যই সৃষ্টি
করেছে।

খুব ইচ্ছে ছিল তােমায় নিয়ে ভালােবাসার
ভেলায় বেসে যাব।

যেখানে কিনা জীবনের অন্তিম মুহূর্ত
দাড়িয়ে।

কত সপ্নই ভীর করেছিল দুজনের মনে।

উঠানের মাঝখানে একটা কুড়ে ঘর বাধব,
যেন পূর্নীমার আলাে আর বর্ষার বৃষ্টি টুকু।

ছুয়ে দেখতে পারি ভালােবাসার শুভ্র মূহূর্তে।।
স্বাখি হয়ে থাকবে তারা প্রতিটা ভালােবাসার
মূহুর্ত।।

পরােক না চাঁদের আলাে বা বর্ষার বৃষ্টি তাতে
কি।

তুমি আমার বাম বাহুতে মাথা রেখে আমার
বুকে মুখ গুজে দিবে।

ঠোটের নরম স্পর্শ দিয়ে বলবে ভালােবাসি
শুধু তােমায়।

প্রতিদানে তােমাকে বুকে জরিয়ে ধরে বলব
হৃদয়ের ছােট জায়গাটা শুধু আমার জন্য।
রেখ,

যাতে জন্মান্তর জুরে তােমায় পেতে পারি।

কিন্তু আজ তুমি অন্যকার হৃদয়ে।
ভালােবাসার প্রদীপ হয়ে আলাে দিয়ে যাচ্ছ।

আমার আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে।

ভালােবাসার প্রদীপটার বুক পুরে ছাই হয়ে।
পরে আছে।।

আজ পূর্ণিমার আকাশেও মেঘের ঘনঘটা
বাজে।

চাদটা বার বার লুকিয়ে পড়ে মেঘের
আড়ালে।

আজও সেই পূর্নীমা রাত,চারদিক
আজও সেই পূর্ণীমা রাত,চারদিক
নিস্তব্দতায় জরে পড়েছে আলাের বৃষ্টি।

আজও সেই শীতল পাটিটা বিছিয়ে বসে
আছি।

নির্ঘুম হয়েছে রাত,বিবর্তনের চাদটা আজ
কান্নার সাখী হয়ে থাকে।

পরে রইল আমার উঠান,শীতল পাটি আর
চাঁদ।

সবই আছে শুধু পাশে নেই তুমি।।।।