প্রিয় লাবণ্য

আজ ২২ শে শ্রাবণ।  আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘেরা ফোঁটা ফোঁটা চোখের জল ফেলেই চলেছে ভোর থেকে। কখনও ঝিরঝির  কখনও ঝমঝম। উথলে আসা দুঃখের আবেগের সাথে তাল মিলিয়ে। কি জানি, ওরাও কি কিছু বুঝেছে?  তাই এত দুঃখ! কোথায় যে এত দুঃখ জমিয়ে রেখেছিল আকাশ, তা সেই জানে।  সত্যি দুঃখ কি মনের আসল সম্পদ?  

সূর্য ও মুখ লুকিয়ে রেখেছে মেঘের চাদরে। যে আকাশের বুকের ওপর তার প্রতিদিন অমন খেলা, তার দুঃখ কাউকে দেখাতে পারবে না বলেই বোধ হয়।৷ সত্যিই বলিহারি সূর্য, সারাটা জীবন শুধু জ্বলে পুড়ে ছারখারই হয়ে গেল, এতটুকু চোখের জল ফেলতে পারল না কোনদিন। জলের সঙ্গে যেন জন্মবৈরীতা।  যতক্ষন দেখতে পাই তাকে, কখনো দেখি নি কাঁদতে। জানি না, চোখের আড়ালে সে কি করে। অনেক সময় অবশ্য মেঘ আড়াল দেয় ওর আঁচল দিয়ে।

কিছু কান্না সূর্যেরও থাকে।  চোখের জলের রঙ তো আর আলাদা নয়,  হোক না সে সুখের বা দুখের, তা শুধু গড়িয়ে পড়তেই জানে। ভিজিয়ে দিতে জানে পৃথিবীর বুক। ঠিক যেমন গড়িয়ে পড়ে তোমার চোখের জল, চোখ থেকে পৃথিবীর বুকে, ফোঁটা ফোঁটা শিশির হয়ে।

জল ত অনেক দুঃখের জমাট বাঁধা রূপ। কত দুঃখ যে কান্না হয় না।  সত্যি যারা কাঁদতে না পারে ,  তাদের কি দুঃখ নেই?

তাদের দুঃখ কি জমাট বাঁধে না চোখের জলে?  হয়ত বাঁধে কিন্তু সূর্যের মত সে দুঃখ কান্নার আগেই বাস্প হয়ে যায় বা বাস্পের আড়ালে হয়ত চাপা পড়ে আসল কান্নার আদল।

আজ যে ২২ শে শ্রাবণ লাবণ্য।

ইতি তোমার অমিত