প্রিয় অমিত,
দুটো শব্দের খোঁজে বুকের ভেতর টা পুড়তে থাকে। কবে, কখন যে কথা’য় এমন টান পড়বে, ভাষায় ঘাটতি আসবে, তা সেদিন জানা যায়নি, যায়ও না হয়ত। ওই যে, যেদিন পাতার পর পাতা চিঠি লিখতে লিখতে তুমি আরো সজীব হয়ে উঠতে, আর আমি বন-কলমী’র মত সবুজ। কলমের কালি শেষ, নাকি খাতার পাতা? তার হিসেব কেউ জানে না।৷
দুপুর গুলো সেই একই রকম আসে যায়। শীতে কমলালেবু, গরমে আম, বর্ষায় পেয়ারা, সবই ঘরে আসে, হাতে করে ছাতের কার্নিশে দাঁড়িয়ে খাওয়াও হয়। তবে তার স্বাদ নেই। সমস্ত কিছুর মধ্যে বিরহের নুন লেগে নোনতা হয়ে বিস্বাদ লাগে।
আর অমন শব্দের পরে শব্দ সেজে উঠবে না হয়ত বা কখনো। “পাতার পর পাতা জুড়ে মহাভারত লিখেছ নাকি?” বলে আর অমন গর্বের প্রচ্ছন্ন হাসি হাসব না, কখনো তা ভাবতেই পারিনা যে! আসলে কবে, কোন মুহূর্ত থেকে শব্দের পর শব্দ গড়া শেষ হয়ে গেল তা তো বুঝতেই পারলাম না।
খোলনলচে পালটে গেছে ওপরের, ছাপ পড়েছে কপালের ভাঁজে, গালের মেছেতায়। পাওয়ার বেড়েছে চশমায়, কিন্তু মন যে সেই পেয়ারা গাছে লাফিয়ে চলা কাঠবেড়ালির পেছনে ধাওয়া করে আজও।
ইতি লাবণ্য