লাবণ্য,
আজ খুব মনে পড়ছে তোমার হাত ধরে গঙ্গা’র পাড় ধরে আমার বে ফিকির হেঁটে যাওয়া, হু হু বাতাস অনেক না বলা কথা বলে যাচ্ছে। সূর্যের আলতো রঙ তোমার শরীর চুঁইয়ে মাটিতে। কিছু কথার মাঝে কিছু নীরবতা জায়গা করে নিচ্ছে আপন মনে। দুরে একটা নৌকা ভেসে গেল। আমায় বলে গেছে দীর্ঘদিন নির্জলা ছিল। আজ উপবাস ভঙ্গ করেছে। আমি আনমনে আলতো গলায় ডাকলাম....’লাবণ্য লাবণ্য’, তুমি সাড়া দিলে- আমি চুপ।
কিছুটা নীরবতা, আবার ডাকলাম, ‘লাবণ্য’। শুধু শুনতে ইচ্ছা সাময়িক নীরবতায় তোমার নাম টা কেমন শোনাচ্ছে। আমার হাত ধরে তোমার চলাটা আর ওই নৌকার বয়ে যাওয়াটা সমমাত্রিক।
— এই যে কত মানুষ ভরসা করে সংসার বৈতরনী পার হয়ে যাচ্ছে। আর আমি তোমার ওপর গা এলিয়ে মন ভেজাচ্ছি, সাঁতার কাটছি, ভেসে যাচ্ছি বাতাসের অনুকূলে। বোশেখি বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে তোমার চুল। তোমার বসন তোমায় অবলম্বন করে অবাধ্য হতে চাইছে।
তোমার মনের প্রতিফলন তোমার চোখের বারান্দায়। তোমার গায়ের গন্ধ আমায় আপ্লুত করে ফেলছে। ধীর পায়ে উল্টো মুখে হাঁটা দিল আজকের দিন। প্রতি পদক্ষেপে গোধূলি ও প্রায় মৃত। নব জন্ম হয়েছে এক নতুন সন্ধ্যার। পাশাপাশি শুধুই অন্ধকার আর সন্ধ্যা তারা। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা। নীরবতার দীর্ঘ চুম্বন শেষে আবার ডাকলাম – ‘লাবণ্য’। কোন এক চৌম্বকীয় বলে আটকে গেছে সময় আর শরীর। ধীরে দ্রবীভূত হয়ে যাচ্ছে আমার সত্ত্বা তোমার ভিতর।
তোমার অমিত।