ভালবাসার কেমন দশা বুঝেও নাই বুঝি,
সাতবাসী ভাত আলু সিঝায় তুখেই আমি খুঁজি।
মরদ রে ঘর কুণ টায় সিঁধায় আছি
লাইগছ্যে দমে ডর।
নুনির শরীল খুবেই খারাব, ঘুসঘুসানি জ্বর।
সেই আশিন মাসে কামের লাগে ধুর দ্যাশ কে গেলি।
বচ্ছর দিন ঘুরে আল্যো তুহি নাই আলি।
মহুল তলে ডাঁঢ়াই থাকি বেলা ডুবার কালে,
হড়কা বানে বুকের ভিতর কাঁসাই লদী চলে।
উনান শাল পড়হেই আছে ঢের দিন লে শুখা।
এতনা দিন হঁয়ে গেল নুনি হামার ভুখা।
আইজ নকি ঠাকুর পুজা ইস্কুলে ইস্কুলে।
গাঁ গেরামের ছেল্যা পুলা ছুটছ্যে দলে দলে,
এ বাপ, কিসকে ঠাকুর, কেমন ঠাকুর, নাই জানি বঠ্যে,
তিড়িং তিড়িং লাচ খেল টো হব্যেক মাঠ্যে ঘাট্যে?
নুনহি বল্লেক, মাই, উনি যি সি ঠাকুর লয়,
দ্যাশ বিদেশ্যের সকল লিখাই উনারই জয় জয়।
উনি বঠেন "কবি রবীন্দ্রনাথ।"
এ নুনি তভে উনার ও কি
দুগগার পারা দশ বারো খান হাত?
গড় করি হ্যে ঠাকুর তুমায় দ্যাশের ভালো করো।
দুটা হাতেই অসুউর বধের অস্তর খান ধরো।
বাগায় কষ্যে ফাবরাই দাও এমন মহামারী।
আল্লা যিশু নারাণ ঠাকুর তুমার সাদা দাড়ি।
ঘুচায় দাও রাতের মতন এমন আঁধার দিন
বাতসা দিবো হরিলুটে,
বাজায় ভাঙা টিন।।