ছবির ফ্রেম জোড়া গাঁথা মালার ফুল গুলো,
একটু করে শুকিয়ে আসে।
কপালে আঁকা চন্দনের ফোঁটাও একটু একটু করে
সময়ের মিশেলে মেশে।
দীর্ঘ পথ চলার পর এখন সব টুকুই
শুধু প্রয়োজনে, অভ্যাসে।
তার সাথে প্রেমের কোনো সম্পক্ক হয়ত কখনো ছিল।
তামাদি হয়ে যাওয়া সে গল্প,
এখন ইতিহাসে।
একজোড়া মাইনাস পাওয়ারের অভিমান ভরা,
চোখের ছবিই সব সময় উজ্জ্বল হয়ে ভাসে।
বিকেল হয়ে এসেছে, রান্না ঘরে চায়ের সুবাস,
ঠুং ঠাং শব্দ একই রকম।
সে নেই, বিমলার মা গুছিয়ে করে দেয় সব টুকু
যেমন টা বলে গেছে বৌদি।
“রুটি যেন সাবধানে করিস,
দাদা কে সেঁকে দিস, হাতে গরম”।
তাওয়ায় খুন্তি নাড়ার শব্দ,
ওই বুঝি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে বলবে,
“কই গো খোকার ফোন এলো”?
সেই একাদশীতে গেছে,
মাস ছয়েক এর বেশিই হলো।
এবার একবার যেন আসে, বুঝিয়ে বোলো।
খোকা আসতে পারেনি মায়ের শেষ যাত্রায়,
চারিপাশ বন্ধ নেই বিমান পরিসেবা।
মহামারী করোনায়।
ভিডিও কলে আছড়ে পড়ে ছিল সে
“মা মা যেওনা, আমি আসছি একটু দাঁড়াও”।
ধীর স্থির লক্ষীমন্ত মানুষ টা,
দু পায়ে আলতা পড়ে চলে গেল।
যেন বলে গেল আমি একাই,
এ রাস্তাটুকু যেতে পারব,
তোমরা বাড়ি যাও।।