এসেছিস বাবু? আয় আয়।
সেই কখন থেকে ঘর বার করছি।
ট্রেন যে আজই কেন এত লেট করে, কি জানি
বুঝি সব,
ওই রেলের লোকেদের মহা শয়তানী।
আবার চুল কেটেছিস নাকি?
কত রোগা হয়ে গেছিস,
হাত পা সব শুকিয়ে যেন দড়ি।
এ সব সালোয়ার জিন্স কি যে ভালবাসিস!
যাই বল, দেখতে সুন্দর লাগে শাড়ি।
দ্যাখ তো, দ্যাখ,
হাতে শাঁখা পলা পরলে কেমন লক্ষীমন্ত লাগে।
এখন সব কি যে স্টাইল
হাত খালি, কপাল খালি,
গা জ্বলে যায় রাগে।
কাক ভোরে উঠেছিস
মুখ খানা কালো ঝিকুটি মেরে গেছে একেবারে।
হলই বা এসির সিট,
তবু তো কস্ট হয়,
বুঝি আমি, যতই তুই মুন্ডু নাড়াস জোরে জোরে।
নে, এবার হাত মুখ ধুয়ে, একটু মিস্টি মুখে দে,
প্রণাম সবাই কে পরে করিস বাপু।
দাদা নিশ্চিন্তিপুর থেকে
পাতলা রসের রসগোল্লা এনেছে,
তুই ভালোবাসিস।
ওই যে রে, কালীবাড়ির রাস্তায়
প্রসন্ন’র দোকান টা,
এখন তো চালায় ওর ভাই, নেপু।
ওর ছোট ভাই বিকাশ,
এখনো মাঝে মাঝে শুধোয় তোর কথা।
তেমন হাঁটা চলা করতে পারেনা বেচারী,
এক্সিডেন্টে পা ভেঙে ছিল,
আহারে! পায়ে নাকি এখনো খুব ব্যথা।
ছিস্টির গল্প কি এখনি শুনবি?
চল, ‘তোর ঘরে’ যাবি চল।
আমার ঘর? মা যে কি বোকা!
আমার আবার ঘর কই গো.....
মা তুমি একই থেকে গেলে,
হাতের থেকে গড়িয়ে আসা জল।
এই তোমাকে জড়িয়েছি একবার।
এক্কেবারে হাড়ে মাসে সেঁধিয়ে বুকে ধরে।
অমনি তোমার ঝুঁটকি বাঁধা খুকু উঁকি দিল
দরজা ফাঁক করে।
মাগো তোমার গায়ের ঘামে মিশে থাকে
গরম ভাতের গন্ধ।
সাদা টেপ আর ইজের পরা খুকু
আসবে বারবার
দুয়ার ক’রনা বন্ধ।।