সারাদিন এ রাস্তা সে রাস্তা ঘুরে পায়ে ব্যথা ধরলে
ফিরে আসি তোমার বারান্দায়।
তুমি নেই, বন্ধ কপাটের ওপর ঝোলানো
গোমড়া মুখের এক ঢাউস তালা।
ভাল্লাগে না প্রতিদিন এই এক চিত্র দেখতে,
ধুসসস শালা।
আরে যাও কোথায় রোজ রোজ।
খিদে পাচ্ছে জল তেষ্টাও,
সে বেলায় বুড়ির নেই খোঁজ।
জানই তো সেই হাটে ঘাটে
যেখানেই ঘুরি না কেন,
আসব তো সেই তোমারই দরজায়।
তা যদি তুমি বুঝতে,
তবে তো হয়েই যেত
ধুর ছাই।
অগত্যা ওই দরজার বাইরেই হত্যে দিয়ে
বসেই আছি সারাটা দিন
পায়ে পায়ে সন্ধ্যে নামলো।
পাড়া বেড়ানি তোমার মেনি বেড়াল টা
সেও ফিরে এলো।
তুমি এলে না,
যেখানেই যাও না কেন
সন্ধ্যে নামার আগেই ছুটে আসো,
তুলসী তলায় আঁধার জমলে
তোমার নাকি কস্ট হয়।
বুকে চাপ ধরে।
তাহলে আজ কি হল?
কেন এলেনা মা, ফিরে?
পাশের পাড়ার নন্দ খুড়ো
যেতে যেতে বলে গেল,
ফিরে যাও, সে আর নেই,
ও তালা আর কখনোই খুলবে না।
রোগে নিয়ে গেছে তাকে....
করোনা,করোনা।
আলসের অন্ধকার কোণ থেকে
কে যেন ফিসফিস করে বলে উঠল
খোকা সেই এলি বাবা,
দুটো দিন আগে এলিনা??