বড় ভালবেসে আগলে রাখি
লক্ষী ঝাঁপির সব কটা ধূসর মলিন কড়ি।
ইসস, যদি পারতাম সময়ের পায়ে বাঁধতে,
একটা মস্ত বড়ো অচল হাতঘড়ি।
'কড়ি মা' এ সুর লাগেনা এখন প্রায় দিন।
শুদ্ধ মা এর কাছে আমার অনেক খানি ঋণ।
হাতের তালুতে ধরে থাকি ধুলো, বালি,
শেষে অপেক্ষার জল।
ফারাক শুধু সময়ের,
তাতে কিবা এসে যায় বল?
সেই তো আমার সারাটা দিন বিরান কাটে।
বরষা এসে জ্বালায়, পোড়ায়, মাথা কোটে ।
মুখপুড়ি মেয়ে ভিজিয়ে খালাস শাড়ি সায়া।
শুকনো কিছুই রাখবে না,
না আমি, না আমার ছায়া।
জানলা ঠেলে ঘরের মেঝেয় বালিশ খোঁজে।
পরদা ওড়ে ফড়ফড়িয়ে সুযোগ বুঝে।
তুমি এলে, হাতের মুঠোয় আকাশ রাখি।
একজোড়া ঠোঁট রাস্তা মাপে, বাড়ির পথে।
আর একজোড়া উড়নচন্ডী শালিক পাখি।
ফের আমি নদীর ধারে,
একশো হাজার জাহাজ গুনি।
কখনো বা মুখ লুকিয়ে,
চোরাবালির বুকের ঘামে,
অপেক্ষাদের পায়ের বেড়ির শব্দ শুনি।।