অনামিকা
______✍️ আমিরুল ইসলাম
******************************(০৪/০৪/২০২০)
নিরুদ্দেশ হবার মত একটা ঘন অন্ধকার
রাতের অপেক্ষায় কত অমাবস্যা অনায়াসেই করেছি পার।
কিছু ব্যথা, কিছু স্মৃতি সত্যিই একান্ত
কাউকে বলা যায়না,
আবার না বলে শান্তও থাকাও যায়না,অকারণে রই ক্লান্ত।
তোমার দেওয়া একবিন্দু যন্ত্রণা আমার কাছে উহুদ পাহাড়।
একবিন্দু যন্ত্রণা উঠাতেই আমি শেষ ক্লান্ত,
বহুবার দেখেছি, তোমাকে ভুলে থাকার তরে
মন বোঝানো কিঞ্চিৎ চেষ্টা করে।
আজো আমার কবিতাই,লুকিয়ে রাখা ডাইরির পাতাই
অতি যত্নে লিখা তোমার স্মৃতি
তোমার ভালোবাসার খুঁজে পায়নি আজো অন্ত।
একদিন বেরিয়েই গেলাম মধ্যরাতে চুপিসারে
হাতে নিয়ে প্রাণপ্রিয় ডাইরি-
ডুব দিয়ে তোমার অতল স্মৃতির গহ্বরে।
পারিনি, ফিরে এসেছিলাম নিরুপায়ে
ফুরিয়ে গেছে অশ্রু, ফুরিয়ে আশা, এভাবেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
সেদিনও পারিনি তোমাকে ভুলে অন্য শহরে যেতে
পারিনি অন্য নদীর তীরে অন্যের হাতে হাত রেখে হাঁটতে।
কিছু অধিকার, কিছু ভালোবাসা অতি মূল্যবান
যে কেউ পারে না এই ভালোবাসা,
এই অধিকারের জায়গা নিজের দখলে আনতে।
হৃদয়ের অন্তঃপুর কেবল তোমারই অনামিকা,
তুমিই প্রথম জ্বেলেছিলে এই অন্ধকার কুঠিরে দীপশিখা।
হৃদয়ে আজো দিব্যমান ওই অনির্বাণ শিখা
শুধু আগলে রাখা হাত দুটো আজ নেই, চারিদিক ফাঁকা।
ময়ূরাক্ষীর তীরে হাঁটা সবার ভাগ্যে জোটে না,
কেবল তুমিই হেঁটেছিলে হাতে হাত রেখে, আজ আমি একা
সেই তৃপ্তি,সেই আনন্দ আজ মলিন,এখন আর পদ্ম ফোটে না।
ময়ূরাক্ষির তীরে আজ অন্তর্চুর সহস্র প্রেমিক আসে,
তীরে আজ সহস্র প্রেমিকের রক্তের ঘ্রাণ-
চারিদিকে হাজারো অনামিকার নাম ভাসে।
বিশাল একটা ঢেউ এসে সবকটা নাম নিয়ে -
চলে যায় সমুদ্রের তলদেশে ভারক্রান্ত রক্তাক্ত চাদরে মুড়িয়ে।
_______সমাপ্ত_______