কথা ছিলো শারদীয় পূর্ণিমাতে দেখা হবে
সঞ্চিত কথার ঝাঁপি খুলে বসবো দুজনে
আমি গায়ে চড়াবো তোমার দেয়া চাদরখানি
তুমি পড়বে কাশফুলরঙের উত্তরীয়
খোঁপায় থাকবে শিউলীর ঝুল
মননে বসনে সবই পূর্ণিমার অনুকূল।
ঝালিয়ে নেবো পরিচয়ের পবিত্রক্ষণের স্মৃতি
চোখে চোখে ভালো লাগার অব্যক্ত সিম্ফনী
প্রথম ছুঁয়ে দেখার স্বর্গীয় অনুভূতি
বিবিধ উদযাপনে চুম্বনের গড়মিল হিসেব
কতো বিরহ রজনীর দুঃসহ আকুতি
ক্ষণিক বিচ্ছদে বিষন্ন সময়ের ইতিবৃত্ত
আর মিলনের যতো উল্লাস আয়োজন।
আকাশের তুলো মেঘ সরে গেলে সাময়িক বিরতি
আঙ্গুলে আঙ্গুল চেপে নিরব তারকা গণনা ক্ষণকাল
তারপর শুরু হবে ভবিষ্যতের প্রক্ষেপসংলাপ
চূড়ান্ত মিলনের আর কতো দেরি?
কি তার সম্ভাব্য কারণ?
মৃদু বচসা, উত্তেজনা, সান্ত্বনা চলবে সমান্তরাল
তারপর হয় হাত ধরে ফিরে আসবো নৈমিত্তিক ভোরে
নতুবা পাষাণ বুকে বেঁধে দেবো স্থায়ী বিচ্ছেদভাসান।
সে পরীক্ষার কালটি কখনো আসেনি আর
আকাশে কতো বার উঠেছে শারদীয় চাঁদ
হয়নি সময় মুখোমুখি বসবার
আমরা হয়তো এখনও প্রস্তুত নই
নয়তো অনাকাঙ্খিত পরিণতি আশঙ্কায় বিচলিত
কখনো কি উপভোগ করা হবে না এমন রাত?
ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকে চাঁদ শারদীয় পূর্ণিমাতে
শুধু তোমার হাতটি নেই আমার হাতে।
১-৯-২০২০। রাত ৮-৫১। সেনওয়ালিয়া