অনেকটা পথ দিয়েছি পাড়ি
শৈশব থেকে কৈশোর তারপর যৌবনের দিনগুলো।
অবসরে ভাবতে বসে অথৈ স্মৃতিতে ডুবে যাই
কত আনন্দ বেদনার গল্প
অনেক অতৃপ্তির দীর্ঘ ফর্দ
কতো না অন্যায় যার জন্য শোচনা
শেষোক্তটি প্রকাশে কত না সংকোচ-
বিপরীতে কত উচ্ছ্বাস-
প্রায়ই প্রগলভ সময় কাটে আনন্দ, বেদনা কিংবা অতৃপ্তি নিয়ে
শ্রোতাও সন্তুষ্ট থাকে সহজলভ্য অভিজ্ঞতার নিপুণ বয়ানে।
আজ ভেবে শিউরে উঠি কত পাখির ডিম ভেঙেছি কৌতুহলে
মা পাখিদের তাড়া উপেক্ষা করে মগডালের কত সুখের সংসারে এনেছি প্রলয়।
সেই গৃহহীন পাখিরাতো নদীভাঙা মানুষের চেয়েও ছিল অসহায়
অল্প বয়সে বুঝিনি অন্যায় কিংবা পাপের গুরুত্ব
আহারে আমার অন্ধ দিগ্বিজয়ী নেশা!
আর কৈশোরে দল বেঁধে ফল চুরি-
গৃহস্থের দৈন্যের রাখিনি খবর
বাদাম চাষী হয়তো সাফল্যের মুখ দেখেনি কোন দিন
এদিকে যৌবনে পলাশরাঙা হৃদয় মানেনি সংযম
প্রজাপতির ডানা ভাঙার মত ভেঙেছি কত হৃদয়, স্বপ্ন
লজ্জাবতী সে সব মনেরা হয়তো আর মেলেনি চোখ আলোর আশায়।
মাঝে মাঝে ভাবি কেউ কি জানে সম্পূর্ণ আমাকে
নাকি সবটুকু মেলে ধরার ঝুঁকি নেবার মতো সাহসী আমি
তাই শুধু ক্ষমা চাই স্রষ্টার কাছে নিভৃতে
সজ্ঞানে বা অজ্ঞাতে কত না পাপ, কত যে স্খলন
জনে জনে মার্জনা ভিক্ষার সুযোগও গেছে কমে-
তাই কেবলই প্রায়শ্চিত্ত আমার বিবেকের দংশনে।