বড় বেশি একঘেয়ে জীবন আজকাল
খুব বেশি যান্ত্রিক আর নিয়মবদ্ধ
দিনরাত্রির ভেদ গেছে ঘুচে
নিদ্রা ও বিশ্রাম আজ বিলাসিতা
সমৃদ্ধির পেছনে ছু্টে বেশ ক্লান্ত আমি
সম্পর্কের দায় মিটিয়ে, সামাজিক দায়িত্ব ঘুচিয়ে
হয়ে গেছি নিঃশেষ
ভালোবাসার জাপটে ধরা আবেগে দমবন্ধ হয়ে আসে
আমি মুক্তি চাই, সাময়িক হলেও
অভ্যস্ত দূরযাত্রায় থাকে প্রিয়জনের জন্য শঙ্কা
তেমন পিছুটানও রাখতে চাই না কিয়ৎকাল।
ঋষির মতো জনবিচ্ছিন্ন হবো
বাউলের মতো দেবো নিরুদ্দিষ্ট যাত্রা
হবো পদপিষ্ট তীর্থযাত্রীর মতো বেওয়ারিশ
মৃত্যু সে তো অবধারিত, তাকে আগাম বরণ নয়
তার আগে চাই নিজস্ব সময়, একাকী উদযাপন
গুহাবাসীর মতো শিল্পভাবনায় হতে চাই বুঁদ
কতো কথা জমেছে মনে, কতো খেদ, অতৃপ্তি!
সে সব জুড়াতে চাই নিমগ্ন গুহাচিত্র অঙ্কনে
জানি হঠাৎ হারিয়ে গেলে বেড়ে যাবে কদর
শত্রুও হয়ে যাবে স্মরণসভার মূখ্য আলোচক
অনন্ত সে সব স্পর্শ করবে না আমায়
তেমনই একটি অঘোষিত ছুটি চাই আমি।
তাই হ্রস্বতর অবসরে নিজের সাথে করি বোঝাপড়া
একদিন অলক্ষ্যে দেব অগস্ত্য উড়াল
প্রকৃতির মাঝে হয়ে যাবো লীন
বহুমাত্রিক দায়বোধ থেকে পাবো আকাঙ্ক্ষিত মুক্তি
ঘাসের ডগার নির্মল শিশিরে ধুয়ে নেবো হৃদয়ের পঙ্কিল
বন্ধনহীন মুক্ত পাখি হয়ে
উড়ে বেড়াবো বিষ্ময়ভরা আকাশে।
৩-৯-২০২০। বিকাল ৪-২৫। সেনওয়ালিয়া