পাঠ্যসুচির অযুত তথ্যের ভিড়ে দিয়েছে গা ঢাকা
পারিবারিক শিক্ষায় হয়ে গেছে সেকেলে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে দেখে আইনের বইয়ের প্রত্নঅক্ষর
আজ দাদীমা নেই, যাত্রার বিবেকও নেই
নেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার কেউ
আছে শুধু ভুক্তভোগীর নিরব ক্রন্দন
আর সচেতন মানুষের সাময়িক উষ্মাপ্রকাশ
খরতাপ কমে, বন্যার পানিও নামে সময় গেলে
এ যন্ত্রণার যে আর শেষ নেই, সম্ভাবনাও ক্ষীণ!
উন্নয়ন আর আধুনিকতার তালে সে চলেছে ঊর্ধমুখী
নীতিবোধ, চরিত্র গঠন এসব কোথায় গেলো?
আজ মায়ের কোলে শিশুও নিরাপদ নয়
কন্যা, জায়া, জননীরা আরো অসহায়
সম্পদে ভাগ বসায় দুর্বৃত্ত রাজনীতিক
পতনের লোমহর্ষক গল্প শুনে শুরু হয় দিন
আইনতো বালির বাঁধ মাত্র, ভয় দেখিয়ে করে নিয়ন্ত্রণ
বিবেকের ধ্বস ঠেকাবে এমন সাধ্য তার কই?
শহরের অলিতে গলিতে ঘোরে দ্বিপদী শ্বাপদ
ভদ্রমুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকে লোভী চোখ
রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় কামুক জন্তুমানব
অট্টালিকার গোপন কক্ষে সন্ত্রাসীর আস্তানা
বইয়ের বদলে আলমারি ভরা কালোটাকা
জঙ্গল ছেড়ে নগরে এসে কোথায় দাঁড়ালো সভ্যতা?
অতিমারীতে মৃত্যুর মিছিলেও জাগেনি বিবেক
আমূল ধ্বংস তবে নেমে আসুক ধরায়
যেমনটি শুনেছি ধর্মকাহিনীতে—
রিখটার স্কেলের কাটা ভেঙ্গে নামুক ভূমিকম্প
নতুন করে শুরু হোক সব।
সে শুদ্ধি অভিযানে নিজেও চাই না মুক্তি
নপুংসক সমাজের আমিও যে ব্যর্থ একজন
মানবতার দলনে কুঁকড়ে উঠি,
তবু প্রতিরোধ গড়তে পারি না
ক্লীব যেমন তলিয়ে যায় বিবর্তনের ধারায়
মনুষ্য পরিচয়ের তেমনি হারিয়েছি অধিকার।
২৫-৯-২০২০। রাত ১০-২৯। সেনওয়ালিয়া