নষ্ট সময়ের উপত্যকায় নিরবে দাঁড়িয়ে দেখি
মানুষের মনে কেবল আত্মপরতার উঁকিঝুঁকি
কতো অন্যায়, ছন্দ পতন, কেউ দেখবার নাই
কতো উন্নতি, অগ্রগতি, প্রশান্তি কোথায় পাই
সমাজে দেখি বিভক্তি রেখা, বিত্ত ও ক্ষমতার
গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে হাসে স্বৈরাচার
ঘুম গেছে উবে, সকলের মনে গা ছমছম ভয়
মুখ বুজে থেকে অলক্ষ্যে সাহসে নেমেছে লয়।

বিবেক বন্ধক রেখেছি কবে, প্রতীকই ভরসা
আমার ভালো অন্যের হাতে দিয়ে দেই সহসা
আদর্শ গেছে, রুচি কমেছে, স্বপ্নে ধরেছে ঘুণ
ক্লীব হয়ে বেঁচে আছি, হয়ে মোসাহেব নির্গুণ
জ্ঞানীর মগজে পচন ধরেছে, বিক্রীত সস্তায়
তরুণ প্রজন্ম দিশাহীন ছুটে, নেশাতে পস্তায়
বিনোদন হয়েছে বাক্সবন্দী, সহজলভ্য কাম
অতীত কিছু অর্জন ছাড়া শূন্য প্রাপ্তির খাম।

কর্কটরোগ ওষুধে সারে না, তবু বাঁচবার সাধ
আমি তেমনই হতাশ হই না, করি না আর্তনাদ
অতীতে লেগেছে পতনের ঢেউ সভ্যতার গায়ে
শুভবোধের উদ্ভাসে দাঁড়িয়েছিলো নিজ দায়ে
সবাই যখন অসহায় তখন কবির কলম জাগে
অক্ষমতার দিনলিপি লেখে নিদারুণ আবেগে
মানুষ কখনো নামতে পারে না পশুর কাতারে
বন্ধ্যা সময় কাটবে ঠিকই মনুষ্যত্বের উৎসারে।

১১-৫-২০২১। দুপুর ১-৫৭। সেনওয়ালিয়া