সঠিক উপমার অভাবে কাব্য হয় বিরস
বাতাসের স্বল্পতায় যেমন গোত্তা খায় ঘুড়ি
কথার পিঠে কথা না বললে থমকে যায় আলাপন
সময় মতো না ধরলে হাত পিছলে যায় প্রণয়
ঘাটতির বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই সাফল্য শিকারে
অনেক পতনের পর আমি বুঝেছি এ সত্য
সুবর্ণ সময় পেরিয়ে তাই করি ঋষির মৌন ধ্যান
ইহকালে সর্বস্ব হারিয়ে পরকাল আঁকড়ে ধরি।
পরাজয়ে পরাজয়ে অভিজ্ঞ আমি
কেউ তবু করে না এ গুণের কদর
কতো ভুল পদক্ষেপ, আবেগের অপচয়!
আমিতো দিতে পারি কাঙ্ক্ষিত সমাধান
আজলাতে তুলে দিতে পারি পোড় খাওয়া হৃদয়
জীর্ণ পাতার মতো শুধু উপেক্ষাই সয়ে যাই
শকট ছেড়েছে বলে গন্তব্যে পৌঁছা হবে না আর?
মানুষ লিখে চলে বিজয়ীর কীর্তিপুরাণ
বিজিতের ত্যাগ থাকে অদৃশ্য, মূল্যহীন
আমি তাই পরাজয়কে করবো মহান
কাব্যময় হাহাকারে জাগাবো করুণাবোধ
বিধ্বস্ত হৃদয় দেখে সহানুভূতি জানাতে কেউ এলে
তারেই মেনে নেবো জীবনের ধ্রুবতারা।
৯-২-২০২১। সন্ধ্যা ৬-১৯। সেনওয়ালিয়া