কতো সহজেই আমরা ভুলে যাই
গ্রীষ্মের দাবদাহে শীতের কাঁপনের হয় বিস্মরণ
তুমুল বর্ষায় মনে থাকে না একদা ছিলো বৃষ্টির আকুতি
সময় আমাদের ভুলিয়ে দেয় সব কিছু।
আমাদের মনেই পড়ে না পিতামাতার অবদান
যৌবনের উদ্দাম সময়ে থাকি আত্মকেন্দ্রিক
তারপর স্থিতু হলে সন্তানের মুখ করে স্মৃতি কাতর
ততদিনে মনে বুদ্বুদ তোলে দায়িত্বহীনতার বেদনা।
প্রণয় ব্যর্থ হলে সবাই ভেঙ্গে পড়ে না
আবার শুরু করে হৃদয়খেলা নতুন আলোয়
প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে ভুলতে চায় পুরনো সে মুখ
ভুলে যাওয়ার বিনিময়ে ভাসে সুখের স্রোতে।
আমরা ক্রমাগত ভুলে যেয়ে হাঁটি জীবনের পথ
বন্ধুত্ব ভুলি, উপকার ভুলি, ঋণ করি অস্বীকার
শুধু ভুক্তভোগী হলেই কেবল ক্ষোভে ফেটে পড়ি
টের পাই না অকৃতজ্ঞতার গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছি কৃতঘ্ন।
ভুলে যাওয়া কারো রক্তে থাকে মিশে
কেউ কেউ ঠিকই মনে রাখে প্রাপ্তির হিসেব
বাকিরা ভুলে যাওয়াকেই করে প্রতিষ্ঠার সোপান
সম্পর্ক ভাঙ্গে, দূরত্ব বাড়ে, সৌহার্দ্যে পড়ে ভাটা।
ভুলের ধূলির উপর সভ্যতা গড়ায়
তাই অলক্ষ্যে চলে বিস্মৃতির খেলা
প্রত্ন খননে সহসা উদ্ভাসিত হয় মিথোজীবী অতীত
আমরা জাদুঘরে রেখে আসি ভুলে যাওয়া সময়।
২৫-৪-২০২১। বিকাল ৬-০৫। সেনওয়ালিয়া